থাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি: জরুরি অবস্থায়ও রাজপথে বিক্ষোভকারীরা

থাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি: জরুরি অবস্থায়ও রাজপথে বিক্ষোভকারীরা

বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাংককের একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং রাজার ক্ষমতা কমানোর দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে দেশটির জনগন। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সরকার। জরুরি অবস্থাও দমাতে পারেনি বিক্ষোভকারীদের।

বৃহস্পতিবার জরুরি অবস্থার মধ্যেও রাজধানী ব্যংককে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। এসময় তারা গণহারে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে ‘আমাদের বন্ধুদের ছেড়ে দাও’ বলে স্লোগান দিয়েছেন। বুধবার (১৪ অক্টোবর) তিন নেতাসহ অন্তত ২০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে থাই পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের অনেক তিন-আঙ্গুলের স্যালুট দিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।  সাম্প্রতিক সময়ে তিন-আঙ্গুলের স্যালুট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।  রাজধানী ব্যাংককে বুধবারের ব্যাপক বিক্ষোভের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

এ সংক্রান্ত এক ডিক্রিতে চারজনের বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী প্রিয়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে মূলত এ বিক্ষোভ হচ্ছে। সাবেক সেনাপ্রধান চান-ওচা ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন এবং গত বছর এক বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্য ‘নির্বাচিত’ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পাশাপাশি থাই রাজা ভাজিলারংকর্নের ক্ষমতা সঙ্কুচিত করারও দাবি জানাচ্ছেন।