চরম সংকটে পাকিস্তান: আইজিকে অপহরণ করলো সেনারা

চরম সংকটে পাকিস্তান: আইজিকে অপহরণ করলো সেনারা

জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বরে মহম্মদ সফদর। ছবি: পিটিআই

চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইমরান খান সরকার। বেশ কিছুধরে বিরোধী দলগুলো তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ প্রধান ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি)-কে কি অপহরণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী? এদিন সেনা ও পুলিশের মধ্যে গুলিযুদ্ধের খবরও প্রকাশিত হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে। যদিও পাক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে এবিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেনা প্রধান কামার বাজওয়া। সাবেক পাক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফের জামাই মহম্মদ সফদরকে গ্রেফতারের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জল্পনা চরমে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রশাসনের বিরুদ্ধে সিন্ধু প্রদেশে সম্প্রতি একটি মিছিল করে বিরোধী দলগুলো। তার নেতৃত্বে ছিলেন নওয়াজ শরিফের জামাতা সফদর। সেখানে কার্যত সেনার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযোগে ওই মিছিলের পরেই সফদরকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই অবশ্য আদালতে জামিনও পেয়ে যান সফদর। 

পুলিশ সূত্রে খবর, সফদরকে গ্রেফতার করতে রাজি ছিল না সিন্ধু পুলিশ। কিন্তু পাক রেঞ্জার্স তাঁকে গ্রেফতারের জন্য আইজির উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। গ্রেফতারির নির্দেশে সই করার জন্য তাঁর উপর নানা ভাবে চাপ তৈরি করা হয়। তার পরেও মেহর রাজি না হওয়ায় তাঁকে অপহরণ করে পাক রেঞ্জার্সের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ রাজি না হওয়ায় সফদরকেও পাক রেঞ্জার্সই গ্রেফতার করে বলে পুলিশের একটি সূত্রে দাবি।

আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর, সিন্ধুর ঘটনার ফলে করাচিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেনার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। তাতে করাচিতে ১০ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। যদিও এ নিয়ে পাক সংবাদ মাধ্যমে এই ধরনের কোনও খবর প্রকাশিত হয়নি। মুখ খোলেননি প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেউ। আন্তর্জাতিক ওই সংবাদমাধ্যমও অসমর্থিত সূত্রে খবর বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মেহর বলেছেন, তিনি নিজে এবং পদস্থ পুলিশকর্তারা গণ ইস্তোফা দেওয়ার কথাও ভাবছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই সেনা প্রধান কামার বাজওয়া ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত ১০ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি অফিসারদের। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে তদন্তের জন্য এই সময় দিতে চাই।’’ তবে কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করে পাক রেঞ্জার্সের অফিসে নিয়ে গিয়েছিল, সে বিষয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি।