দাফনের সময় জীবিত হওয়া নবজাতকটি আর নেই

দাফনের সময় জীবিত হওয়া নবজাতকটি আর নেই

প্রতীকী ছবি

দাফনের সময় জীবিত হওয়া নবজাতকটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে  ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে। বুধবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের ২১১ নম্বর নবজাতক (মরিয়ম) ওয়ার্ডের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায মরিয়মের মৃত্যু হয়।

 নবজাতকের বাবা ইয়াসিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি কান্নাকন্ঠে বলেন, আমার সোনামনি মরিয়মকে আর বাঁচানো গেল না বুঝি? আমি তার মাকে কী করে বুঝাবো আমাদের মরিয়ম আর নেই।

নবজাতকের স্বজনরা জানান, জন্মের পর ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে ওই নবজাতককে একটি প্যাকেটে ভরে তার বাবা ইয়াসিনের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসকরা বলেন, নবজাতকটি মৃতই জন্ম নিয়েছে।

পরে ওই প্যাকেটে থাকা নবজাতকটিকে নিয়ে সকালে ইয়াসিন আজিমপুর কবরস্থানে যান। তখন আজিমপুর কবরস্থানের লোকজন দাফনের জন্য ইয়াসিনের কাছে ১৪ শ' টাকা দাবি করে তার কাছে তখন টাকা ছিল না। অর্থনৈতিক কারণে তাকে দাফন করতে না পারায় একপর্যায়ে ইয়াসিন নবজাতকটিকে নিয়ে বসিলা রায়েরবাজার কবরস্থানে গেলে সেখানের লোকজন তাকে দাফনের জন্য প্যাকেট খুললে নবজাতকটি নড়েচড়ে ওঠতে দেখেন। ইয়াসিন দ্রুত নবজাতককে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নবজাতকটি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখেন। সেখানের চিকিৎসকরা বলেছেন, নবজাতকের অবস্থা তেমন ভালো না, যেকোনো সময় কিছু ঘটে যেতে পারে।

ইয়াসিন মোল্লা বলেন, এটা ছিল তার দ্বিতীয় সন্তান। ইসরাত জাহান (৯) তার আরো একটি কন্যাসন্তান আছে।