লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। ফাইল ছবি।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে আদ-দ্বীন হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার পর তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় বলে জানান হাসপাতালটির মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে স্যারের অবস্থা খারাপের দিকে যায়।অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে  তাকে আইসিইউতে নেওয়ার পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অবস্থা ক্রিটিক্যাল তবে তিনি সাড়া দিচ্ছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সুস্থ হতে একটু বেশি সময় লাগছে।  

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ( বৃহস্পতিবার) দেশের এক সময়ের প্রধান আইন কর্তা ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ডা. রিচমন্ড রোন্যাল্ড গোমেজ দুপুরে তাঁর বাসায় যান। সেখানে গিয়ে ডা.রিচমন্ড রোন্যাল্ড গোমেজ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে বিকালে খ্যাতিমান প্রবীণ এই আইনজীবীকে হাসপাতালে আনা হয়।পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বার্ধক্যজনিত, ইউরিন ইনফেকশন ও রক্তশূন্যতার কারণে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শাররীকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। গত ১৯ অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের তত্বাবধানে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের চিকিৎসা চলেছে বলে ডা. নাহিদ ইয়াসমিন জানিয়েছেন। বৃহষ্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি আদ্-দ্বীন হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে জানা গেছে।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রে ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না।

বয়োবৃদ্ধ খ্যাতিমান মানুষটির বিছানায় শুয়েই দিনের অধিকাংশ সময় কাটে। চলাফেরা করতে হুইল চেয়ার আর কর্মচারীরাই তার সঙ্গী। কয়েক বছর ধরে তিনি নিয়মিত কোর্টে আসতে পারেননি না।