যশোরে কাঠ ব্যবসায়ী মোস্তফা হত্যায় ২ আসামী গ্রেফতার

যশোরে কাঠ ব্যবসায়ী মোস্তফা হত্যায় ২ আসামী গ্রেফতার

ছবি: প্রতিনিধি

যশোরে চুড়ামনকাটির কাঠ ব্যবসায়ী মোস্তফা হত্যায় ২ জন আসামী গ্রেফতার ,হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকু,মটরসাইকেল জব্দ,ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার।

আজ  বিকালে পুলিশ সুপারের কন্ফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন  জানান,গত ২৫ অক্টোবর সকালে সদর উপজেলার কাশিমপুরের ঘোনা গ্রামের একটি মেহেগনি বাগানের নিচে ভৈরব নদে কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় গোলাম মোস্তফার মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ ২৮ অক্টোবর রাতে চুড়ামনকাটি বাজার থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে এবং তার বাড়ীর টিউবওয়েলের পাড়ে থাকা কাঠের নীচ থেকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে।  মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার সহযোগী সহিদুল ইসলামকে কোতয়ালী থানাধীন মুড়–লীর মোড় থেকে গ্রেফতার করে ।

পুলিশ সুপার আরও জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ভিকটিম গোলাম মোস্তফা ও গ্রেফতারকৃত আবদুল্লাহ আল মামুন উভয়েই কাঠ ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীক দেনা পাওনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।  একচ্ছত্র ব্যবসার লালসে আসামী আবদুল্লাহ আল মামুন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার সহযোগী সহিদুল ইসলামকে ২৪ তারিখ বিকালে ভিকটিম মোস্তফার সাথে কাঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং কাঠ ক্রয় বিক্রয়ের আলোচনা করে তারা।

এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় মটরসাইকেল যোগে চৌগাছা থানাধীন সলুয়া এলাকায় ভিকটিম মোস্তফাকে নিয়ে ফেনসিডিল খেতে যায় তার্।এরপর রাত সাড়ে ৮ টায় উক্ত স্থানে মোস্তফাকে নেশাদ্রব্য গাঁজা খাইয়ে গলায় চাকু দিয়ে হত্যা করে লাশ নদীর পানিতে ফেলে দেয় এবং কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেয়। গেফতারকৃত আবদুল্লা আল মামুন সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে ,অপর গ্রেফতারকৃত সহিদুল ইসলাম একই উপজেলার শাখারীগাতী এলাকার বাসিন্দা মাজেদ মোল্লার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ক পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম,সালাউদ্দিন শিকদার,গোলাম রব্বানী ও অপু সরোয়ার, ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সোমেন দাস।