স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : এএসআই রাহেনুল কারাগারে

স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : এএসআই রাহেনুল কারাগারে

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়হানুলকে আদলতে হাজির করা হয়।

রংপুরে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদলত। মামলার তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইানভেস্টিগেশন। আগামী ৪ নভেম্বর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পিবিআই’র পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। 

তিনি জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এএসআই রাহেনুলের জড়িত থাকার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। আদালত আগামী ৪ নভেম্বর রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

এরআগে বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। গ্রেফতারের পর তাকে পিবিআই কার্যালয়ে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) তাকে আদালতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পিআইবি।

গত ২৩ অক্টোবর প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এএসআই রায়হানুল তার পূর্বপরিচিত ভাড়াটিয়া মেঘলার বাড়িতে নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে ওই স্কুলছাত্রী রায়হানুলের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে তার মা বকাবকি করেন। এতে মেয়েটি অভিমান করে ওইদিন রাতে রায়হানুলের পরিচিত ভাড়াটিয়া বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে অবস্থানকালে পরের দিন অচেনা দুই পুরুষ মেয়েটিকে ভাড়াটিয়ার সহায়তায় ধর্ষণ করেন। 

নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই কিশোরী রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২২ ধারায় দেয়া ঘটনার বর্ণনায় দেয়। এসময় রায়হানুলের সম্পৃক্ততার কথা জানায় সে।

এ ঘটনায় বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অপর আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনকে আদালতে নেয়া হয়। তারাও সেখানে একই বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন তারা।