পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

ফাইল ছবি।

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে আজ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সারা দেশে পালন হবে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুদিবস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল মাসে সৌদি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। আবার মাত্র ৬৩ বছরের একই দিনে তিনি পরলোকগমন করেন।

সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে ১২ রবিউল আউয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণময় দিন। মুসলমান সম্প্রদায় দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে।

বাংলাদেশে দিনটি সরকারি ছুটির দিন এবং দেশের মুসলিমরা এ দিন বিশেষ ইবাদত করেন। দিনটি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা ও কোরআন খতমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, মসজিদ ও মাদরাসা।

বুধবার এক তথ্য বিবরণীতে পিআইডি জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাতীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন শুরু করেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন উপলক্ষে ২৯ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামীক ফাউন্ডেশন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি : 
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সারা দেশে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম সচিব ড. মো নূরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, আগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ১৫ দিনব্যাপী বাদ মাগরিব ও বাদ এশা দেশবরেণ্য আলেম-ওলামাদের ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হতো।

বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তা লাইভে জুম অ্যাপসহ ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।

এছাড়া প্রতিদিন বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সম্মেলন কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ওই ওয়াজ মাহফিল প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।