সোনারগাঁওয়ে মসজিদের ইমামের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

সোনারগাঁওয়ে মসজিদের ইমামের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

ছবি সংগৃহিত।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মসজিদের এক ইমামকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের হুজুরাখানা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত ইমামের নাম- দিদারুল ইসলাম (২৬)। তিনি মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওই ইমামের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামকে বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্বৃত্তরা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। মসজিদের হুজুরাখানায় (থাকার স্থান) দুর্বৃত্তরা এ ঘটনাটি ঘটানোর পর সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি পুলিশের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের মুসল্লিরা জানান, একই ইউনিয়নের ছোট কাজীরগাঁও গ্রামের মসজিদের ইমামের রেফারেন্সে এ মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগদান করেছিলেন দিদারুল ইসলাম। ঈদুল আজহার পরের দিন (মঙ্গলবার) ট্রেনিংয়ের কথা বলে মসজিদ থেকে বাইরে যাওয়ার পর শুক্রবার দুপুরে এসে তিনি আবার জুমার নামাজ পড়ান। এরপর তিনি আবার ট্রেনিংয়ে চলে যান ও মঙ্গলবার বিকেলে এসে আসরের নামাজ পড়ান। তবে তিনি ঈদের কিছুদিন আগে মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগদান করেছিলেন।

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামের গলার বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলে ও হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিহত ইমামের গ্রামের বাড়ি খুলনা তেরোখাদা গ্রামে। তার পিতার নাম- আফতাব ফরাজী। তবে, কি কারণে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করেছে তা এখনোও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করা হবে।