মক্কা ও জমজম কূপকে তাচ্ছিল্য করে সমালোচনার মুখে ইবি শিক্ষার্থী, শাস্তি দাবি

মক্কা ও জমজম কূপকে তাচ্ছিল্য করে সমালোচনার মুখে ইবি শিক্ষার্থী, শাস্তি দাবি

মক্কা ও জমজম কূপকে তাচ্ছিল্য করে সমালোচনা কারী ইবি শিক্ষার্থীআব্দুল্লাহ আল হাদী

ফেসবুকে পবিত্র মক্কা শরীফ ও জমজম কূপকে তাচ্ছিল্য করে স্টাটাস দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ওই শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ আল হাদী। 

শুক্রবার স্টাটাসটি ভাইরাল হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার সহপাঠীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা তার শাস্তি দাবি করে স্ট্যাটাস ও মন্তব্য করেছেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিভিন্ন পোস্ট ও বিরুপ মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। 

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি ফ্রান্সের ম্যাগাজিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র ছাপানোয় মুসলমানদের ফরাসি পণ্য বর্জনের দাবির বিরোধীতা করে পণ্য বর্জন না করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এসময় পবিত্র মক্কা ও জমজম কূপকে 'তথাকথিত পবিত্র মক্কা ও 'তথাকথিত পবিত্র জমজম কূপ' বলে সম্বোধন করেন। স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপরই তা ভাইরাল হয় ও ফেসবুকে নিন্দার ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে৷ 

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক সহপাঠী বলেন, সে ধর্ম নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি এর আগেও কয়েকবার করেছে। মাঝে আরো একবার ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় প্রতিবাদের ঝড় উঠলে সে তার আইডি ডিজেবল করে রাখে। এবার তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি। 

প্রতিবাদের ঝড় উঠলে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হাদী তার টাইমলাইন থেকে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নেন। জানা যায়, এর আগেও তার বিভিন্ন পোস্টে বিতর্কের জন্ম দিলেই পোস্ট সরিয়ে নিতেন হাদী। 

এ বিষয়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাক মোক্তাদির মনোয়ার আলী বলেন, আমরা বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টা উপ-কমিটিকে খোঁজ নিতে বলেছি। আজ বিভাগের জরুরী মিটিং কল করা হয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত আমরা প্রশাসনকে জানাবো।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, আমি তার বিভাগের সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বিভাগীয়ভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান না করতে পারলে প্রশাসনকে জানাবেন।