পুতিনের ঘোষণায় আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের সমাপ্তি

পুতিনের ঘোষণায় আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের সমাপ্তি

ফাইল ছবি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের বিরোধের অবসান ঘটাতে দেশ দুটি চুক্তি করেছে বলে জানান পুতিন।

চুক্তিটি মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে কার্যকর হয়েছে। ছয় সপ্তাহের এই যুদ্ধে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল প্যাসিনিয়ান ফেসবুক পোস্টে এই চুক্তিকে ‘অবর্ণনীয় বেদনাদায়ক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

চুক্তিটি আজারবাইজানও স্বীকৃতি দিয়েছে। পুতিনের সাথে অনলাইনে বৈঠকের পর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানান, স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সংঘাত নিরসনে (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয়ে পরিণত হবে।

কারাবাখের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুশা আজেরি বাহিনীর দখলে নেয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই চুক্তিটি কার্যকর করা হলো।

পুতিন ঘোষণা দেন, দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়েছে। 

রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, এই চুক্তির আওতায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থান করবে।

পুতিন আরো ঘোষণা দেন যে নাগার্নো-কারাবাখ সীমান্তে রাশিয়ার শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে এবং যে করিডোর দিয়ে করাবাখ-আর্মেনিয়া যোগাযোগ রক্ষা করা হয় সেখানেও সৈন্য মোতায়েন করা হবে।

এছাড়াও জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার তত্তাবধানে নাগার্নো-কারাবাখ ও এর আশেপাশের শরণার্থীদের আবারো ফিরিয়ে আনা হবে।

পুতিন জানান, এ অঞ্চলের পরিবহন ও যোগাযোগের দায়িত্বে থাকবে রাশিয়ান বর্ডার সিকিউরিটি সার্ভিস।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘমেয়াদী এই চুক্তি আর্মেনিয়ান ও আজারবাইজানের মানুষের স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সুষ্ঠুভাবে নাগার্নো-কারাবাখ সঙ্কটের পূর্ণাঙ্গ সমাধান পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্ক ১৯৯১ সাল থেকে উত্তেজনা বিরাজমান। তবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

এরইমধ্যে আর্মেনিয়া বারবার আজারবাইজানের বেসামরিক লোক ও সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করেছে, এমনকি তিনটি মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

আজারবাইজানের প্রায় ২০ ভাগ অঞ্চল প্রায় তিন দশক ধরে অবৈধভাবে আর্মেনিয়ার দখলে রয়েছে।

সূত্র : আনাদোলু এসেন্সি