চীনের কোভিড ভ্যাকসিনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে ব্রাজিল

চীনের কোভিড ভ্যাকসিনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে ব্রাজিল

ছবি:প্রতীকী

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনের সিনোভেক বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভেক টিকার মানব পর্যায়ের পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষ, কারণ তারা 'মারাত্মক বিরূপ' প্রতিক্রিয়ার একটি ঘটনা দেখতে পেয়েছে।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান আনভিসা বলেছেন, গত ২৯শে অক্টোবর ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে তারা আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি।সোমবার আনভিসা জানিয়েছে, টিকাটির পরীক্ষায় মারাত্মক বিরূপ প্রভাব দেখতে পাওয়ার পর তারা পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে।কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে, তাও জানায়নি সংস্থাটি।

তবে ব্রাজিলে যারা টিকাটির পরীক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে, সেই মেডিকেল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান ডিমাস কোভাস স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণে টিকার কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তার মৃত্যুর সঙ্গে টিকার সম্পর্ক নেই।ঘটনাটির ব্যাপারে ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে।

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বে যে কয়েকটি টিকার কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, তার একটি চীনের সিনোভেক বায়োটেকের আবিষ্কৃত করোনাভ্যাক টিকাটি।সিনোভেক দাবি করেছে, তারা টিকাটি নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা নিশ্চিত।

কোন টিকার পরীক্ষার সময় সাময়িক স্থগিত হওয়া ব্যতিক্রমী কিছু নয়। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ায় আরেকটি কোভিড-১৯ টিকার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। তবে টিকাটির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিরাপদ বলে সিদ্ধান্ত দেয়ার পর কয়েকদিন পরে আবার সেই টিকার কার্যক্রম শুরু করা হয়।

ব্রাজিল ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া এবং তুরস্কে এই টিকার পরীক্ষা চলছে। তবে সেখানে টিকার কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার কোন তথ্য জানা যায়নি।ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো ইতিমধ্যেই অস্ট্রাজেনকা টিকার ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা জানিয়ে ঘোষণা করেছেন যে, তার সরকার চীনের তৈরি কোন কোভিড-১৯ টিকা কিনবে না।

জরুরি কর্মসূচীর আওতায় চীনে হাজার হাজার মানুষকে এর মধ্যেই এই টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি ব্রাজিল। সেখানে এর মধ্যেই ৫৬ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পরে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।বাংলাদেশেও সিনোভেকের এই টিকার পরীক্ষা চালানোর ব্যাপারে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কোম্পানিটি পরীক্ষা চালানোর জন্য সরকারের কাছে তহবিল চেয়ে অনুরোধ জানানোয় সেই কার্যক্রম থমকে যায়। সূত্র : বিবিসি