পাবনায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংষর্ষে শিশু নিহত, আহত-৭

পাবনায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংষর্ষে শিশু নিহত, আহত-৭

দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রবাস।

পাবনায় পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত এবং আহত হয়েছে সাতজন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে পাবনায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংষর্ষে ১ নিহত ও ৬ জন জন আহত হয়েছে। অপরদিকে শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদীতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী দু’পা হারিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে পাবনা জেলা শহরের উত্তর পার্শ্বে মেরিল বাইপাস মোড়ে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংষর্ষে এক শিশু নিহত ও ৬ জন জন আহত হয়েছে।  

নিহত শিশু হলো সেনাবাহিনীর সদস্য মোঃ এনামূল হকের ছেলে ৪র্থ শেণীর ছাত্র ছাদিদ (৯)। তাদের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর গ্রামে।

পুলিশ জানায়, রাতে ঘটনাস্থলে দ্রুতগামী একটি বাসের সাথে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এক শিশু নিহত ও মহিলাসহ ছয়জন আহত হয়। মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।আহতদের প্রথমে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে মাইক্রোবাসের চালক শহিদুল ইসলামের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে ওসি জানান।

এছাড়া শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ঈশ্বরদী উপজেলার সরইকান্দি এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর দু’পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুর গ্রামের আজিজুর রহমান এর পুত্র আশিকুর রহমান (৩০) এই দুর্ঘটনার শিকার হন। এ সময় ওই দ্রুতগামী একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আশিকের দু’পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

এ বিষয়ে পাকশী হাইওয়ে থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু নাঈম উদ্দিন জিহাদ ইসলাম জানান, আহত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।