​দৃষ্টিকটু নকশায় কুবির বঙ্গবন্ধু হল

​দৃষ্টিকটু নকশায় কুবির বঙ্গবন্ধু হল

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণধীন বঙ্গবন্ধু হল

কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারিত অংশে সুদূরপ্রসারী নকশা আর পরিকল্পিত কাজের অভাবে পথচারীদের প্রথম দর্শনে হলের বাথরুম এবং গোসলখানা চোখে পড়ছে। ফলে দৃষ্টিকটু দেখাচ্ছে সম্পূর্ণ হল। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ার সম্ভাবনা জানিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী নিউজজোন বিডিকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ, কেন্দ্রীয় মাঠ এবং শহীদ মিনার যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে রাস্তা ব্যবহার করা আবশ্যক। এসময় যে কারো দৃষ্টি হলের দিকে পড়লে দৃষ্টিকটু দেখাবে।

প্রথমেই চোখে পড়বে হলের শৌচাগার সমূহ। ছেলেদের হল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আরো বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার কথা জানান তারা। জানা যায়, ২০১৬ সালের মে মাসে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলী আশরাফের সময় কাজ আরম্ভ হওয়া হলটির প্রধান ফটক এবং সামনের দিক ধরা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ, খেলার মাঠ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার দিকে। আবার একই পাশে বসানো হয়েছে সম্প্রসারিত অংশের টয়লেট এবং গোসলখানা সমূহ। ফলে এ রাস্তায় গমনকারীদের প্রথম দৃষ্টি পড়ে হলের গোসলখানা এবং টয়লেটের দিকে। তবে অদক্ষতা এবং অপরিকল্পনার অভিযোগ দীর্ঘ হলেও সেটির দায়ভার নিতে রাজি নয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেউই। এমনকি বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক এবং বর্তমান পরিকল্পনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, 'হলের দু পাশে পাহাড় এবং অপর পাশে সংযুক্তি থাকায় ডিজাইন অন্য কোন পদ্ধতিতে করা সম্ভব ছিল না। তবে এর জন্য কোন ধরনের বাড়তি সমস্যাও সৃষ্টি হবে না।' বর্তমান ঠিকাদার মিলন হোসেন বলেন, "আমদেরকে প্রকল্পের যে নকশা দেয়া হয়। মূলত তা নিয়ে আমরা কাজ করি। সম্প্রসারিত অংশে কাজ করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন কিছু সংযুক্ত করেছি যা মূল নকশায় ছিল না। তবে সর্বপরি আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে কোন কাজ করি নি। সুতরাং এ সমস্যার বিষয়ে পরিকল্পনা দপ্তর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর ভালো বলতে পারবে।" এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এমরান কবির চৌধুরী বলেন, 'ভবনের নকশার যখন করা হয় তখন আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত ছিলাম না। সে সময়কার যারা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ছিল তারা এ বিষয়ে বলতে পারবে। তবে ভবনের নকশা আধুনিক নকশার সাথে সামঞ্জস্য নয়।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পেশাদার ডিজাইনারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, 'আধুনিককালের ভবনের স্ট্রাকচারের সাথে এই স্ট্রাকচার মোটেই উপযুক্ত নয়। ভবনের ডিজাইনিংয়ের সময় কতৃপক্ষকে আরে সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ধারনার সাথে এই ডিজাইন কোনভাবেই মিলানো যায় না।কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।'