ফাইনালে তামিমের লাহোর কালান্দার্স

ফাইনালে তামিমের লাহোর কালান্দার্স

তামিম ইকবাল

পাকিস্তান সুপার লীগের(পিএসএল) ফাইনাল নিশ্চিত করেছন তামিমের লাহোর কালান্দার্স।টানা দুই এলিমিনেটর ম্যাচে দুরান্ত জয়ে তারা এ ফাইনাল নিশ্চিত করে।

রোববার করাচি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে মুলতান সুলতান্সকে ২৫ রানে পরাজিত করেছে লাহোর। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে লাহোর কালান্দার্স করে ৬ উইকেটে ১৮২ রান। জবাবে মুলতান ১৯.১ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে।ফলে তামিমের লাহোর কালান্দার্স ২৫ রানের বড় জয় ‍পায় ।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে লাহোর কালান্দার্স। ওপেনিং করেতে নামে দুই মারকোটারি ব্যাটম্যান বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও পাকিস্তানের ফখর জামান। দুই জনের ঝড় ব্যাটিং এর সুবাহে লাহোর প্রথম ৪ অভারে তোলে ৪২ রান। এদিনও ঝড়ো আভাস দিয়েও থেমে যান তামিম। হয়নি ইনিংস বড়। প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে করেছিলেন ১৮ রান। এই ম্যাচে ২০ বলে ৫ চারে তার রান ৩০। জুনাইদ খানের বলে কিছুটা আগেই প্যাডল খেলতে গিয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সেখানেই বল উঠে যায় আকাশে। সহজ ক্যাচ নেন খুশদিল শাহ।

তামিম আউট হলেও ফকর চালিয়েছেন ব্যাট। ৩৬ বলে তিনি করেন ৪৬ রান। আগের ম্যাচে দারুণ খেলা হাফিজ এ দিন আউট মাত্র ১৯ রানে। শেষের দিকে প্যাটেল ও ওয়েজের ঝড়ো ব্যাটিং লাহোরকে রান চূড়ায় তুলে দেয়।ফলে লাহোর কালান্দার্সের স্কোর দাড়ায় ৬ উইকেটে ১৮২ রান।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে মুলতানের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাই জয়ের আশা দেখিয়েছিল। কিন্তু তাদের বিদায়ের পর মিডল কিংবা লেজের ব্যাটসম্যানরা লড়াইয়ে শামিল হতে পারেনি। আত্মসমর্পণ করেন লাহোরের বোলারদের সামনে।

সর্বোচ্চ ২৯ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৫০ রান করেন ওপেনার লিথ। খুশদিল ৩০ ও অধিনায়ক শান মাসুদ করেন ২৭ রান। বোপারা-শহীদ আফ্রিদিসহ বাকি কয়েক ব্যাটসম্যান স্পর্শই করতে পারেননি দুই অঙ্কের রান।

লাহোরের হয়ে বল হাতে তিনটি করে উইকেট নেন হ্যারিস রউফ ও ডেভিড ওয়েজ। দুটি করে উইকেট বগল দাবা করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও দিলবার হোসেন। ৪ ওভারে ২৭ রানে তিন উইকেট নেয়া ওয়েজ ব্যাট হাতেও খেলেন ঝড়ো ইনিংস। ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।