দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর পৌণে ৬ কিলোমিটার

দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর পৌণে ৬ কিলোমিটার

ছবি:সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়েছে।শনিবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ১ ও ২ নম্বর পিলারের ওপর এ স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার (প্রায় পৌণে ৬ কিলোমিটার) দৃশ্যমান হলো।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো: আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৩৭তম স্প্যান ‘২-সি’ বসানোর ৯ দিনের মাথায় ৩৮তম স্প্যান ‘ওয়ান-এ’ বসানো সম্পন্ন হলো। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার। এখন আধা কিলোমিটারের মতো বাকি রইল।

প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর ৩৯তম স্প্যানটি নভেম্বর মাসেই স্থাপন করা হবে। আগামী ২ ডিসেম্বর ৪০তম স্প্যান এবং অবশিষ্টটি ১০ ডিসেম্বর স্থাপন করা হবে।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম অবকাঠামো, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে করা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, পদ্মা সেতু দেশে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে।

তারা বলেন, সরকার অত্যন্ত আশাবাদী যে, নতুন এই বৃহত্তম কাঠামো ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে গেলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর এ অঞ্চলটিতে এক যুগান্তকারী উন্নয়নের সূচনা করবে এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

মূল সেতুটি নির্মাণের কাজটি চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি’ করছে। অন্যদিকে, চীনা কোম্পানি সিনো হাইড্রো করপোরেশন এতে নদী শাসনের কাজটি করছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।