চিকিৎসকসহ লোকবল সংকটে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কাম পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

চিকিৎসকসহ লোকবল সংকটে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কাম পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ছবি : প্রতিনিধি

পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতলে কাম পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রয়োজন সংখ্যক চিকিৎসক সংকটের কারণে পাবনাবাসী  কাঙ্খিতমানের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যান্য বিভাগেও বেশ কিছু পদ শুন্য রয়েছে। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী জনবল না থাকায় রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত মানের সেবা। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পাবনাবাসী। ভালো চিকিৎসার জন্য এদিক সেদিক দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয় রোগীদের। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কাম পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মঞ্জুরীকৃত পদের সংখ্যা ৩২৮টি। মঞ্জুরীকৃত ৫৮ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও ১৭টি চিকিৎসকের পদ খালি রয়েছে।

১৭টি চিকিৎকের শুন্য পদের মধ্যে ৪টি সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং ৪টি জুনিয়র কনসালটেন্টসহ আবাসিক ফিজিশিয়ান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, প্যাথলজিষ্ট, মেডিকেল অফিসার, এনথেসথেসিষ্ট, মেডিকেল অফিসার (শিশু), মেডিকেল অফিসার (প্রবেশ পদ) এবং ডেন্টাল সার্জন পদ শুন্য রয়েছে।

বিশেষ করে সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) বিভাগে , অর্থোঃ সার্জরী, চর্ম ও যৌন এবং ইএনটি; জুনিয়র কনসালটেন্ট বিভাগে চক্ষু,কার্ডিও, মেডিসিন, চর্ম ও যৌন; আবাসিক সার্জন, রেডিওলিষ্ট, মেডিকেল অফিসার ( চর্ম), ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার, সহকারী রেজিঃ (সার্জারী ও মেডিসিন), সহকারী রেজিঃ ( চক্ষু ও কার্ডিও),  মেডিকেল অফিসার (ইউনানী)  পদ দীর্ঘদিন শুন্য থাকায় এসব পদে জোড়াতালি দিয়ে রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কাঙ্খিতমানের চিকিৎসা রোগীরা পাচ্ছেন না।

এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শেণীর পদ শুন্য আছে ২৩টি। বিশেষ করে ৪টি ষ্টাফ নার্স, পরিসংখ্যানবীদ,এমএলএস এস, সুইপার পদ খালি থকায় দাপ্তরিক কাজে বিঘিœত হচ্ছে। ফলে  বিদ্যমান বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের দিয়ে ওই সব শুন্য পদের কাজ চালানো হচ্ছে। কর্মচারী সংকটের কারণে একজনের কাজ আরেকজনকে দিয়ে করানো হচ্ছে।এতে করে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নস্তরের কর্মচারীদের।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক(এডি) মোঃ আইয়ুব হোসেন বলেন,“হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগে সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রয়োজন। বিশেষ করে হাসপাতালে চর্ম ও যৌন রোগ চিকিৎসক নেই দীর্ঘদিন ধরে। পাবনা মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের সহযোগিতায় জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারদের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাবনা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আসতে হয়। আবার মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল না থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত সেখান থেকে জেনারেল হাসপাতালে আসাটাও বেশ ব্যয়বহুল। তবে এসব সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।” হাসপাতালের চিকিৎসকসহ  বিভিন্ন শুন্য পদ পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লেখা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এগুলো সমাধান হয়ে যাবে তিনি আশা করছেন।