আবারও পৃথিবির দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

আবারও পৃথিবির দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

প্রতীকী ছবি।

আবারও পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বড় আকারের এক গ্রহাণু। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, আগামী রবিবার 153201 2000 WO107 নামের ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে। বিশ্বের দীর্ঘতম বহুতল গগনচুম্বী দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার দৈর্ঘ্যের ওই গ্রহাণুটির ব্যাস ০.৫১ কিমি।

নাসা জানিয়েছে, ওই গ্রহাণুটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৬ হাজার কিমি। অতিকায় এই গ্রহাণুটি যদি সত্যিই পৃথিবীর আবহমণ্ডলে ঢুকে পড়ত তাহলে পৃথিবীর জন্য বিপদ হতে পারত। কিন্তু নাসা জানিয়েছে তেমন সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। মনে করা হচ্ছে, পৃথিবী থেকে ৪৩ লক্ষ ০৫ হাজার ৭৭৫ কিমি দূর দিয়েই চলে যাবে রবিবার রাত ১টা বেজে ৮ মিনিটে। নিউ মেক্সিকোর বিজ্ঞানীরা এটিকে আবিষ্কার করেছিলেন ২০০০ সালের ২৯ নভেম্বর। বিরাট আকারের কারণে সেই থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটির দিকে নজর রেখেছিলেন।

সাধারণত এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। যদিও কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা হঠাৎ অনেকটা কাছে চলে আসে। তবে এই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব ১.৩ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল মাইলের মধ্যে থাকায় এটিকে ‘নিয়ার আর্থ অ্যাস্টরয়েড’ তথা  NEA হিসেবে ধরা হচ্ছে। ফলে এটির দিকে গোড়া থেকেই আলাদা করে লক্ষ রাখছিলেন বিজ্ঞানীরা।

প্রসঙ্গত, এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়‌ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গেছে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।