করোনায় বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ

করোনায় বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ

প্রতীকী ছবি।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে জীবনযাত্রায় ব্যপক বাধা সৃষ্টি করছে। অদৃশ্য এ ভাইরাস প্রতিরোধে যথাসাধ্য লড়াই করে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশ করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে রাশিয়া এবং চীন ইতোমধ্যে হিউম্যান ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, আগামী বছরের শুরুর দিকে বাজারে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ প্রায় ২১৫ টি দেশ এবং অঞ্চল এ মহামারিতে আক্রান্ত। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পাশাপাশি হওয়া স্বত্ত্বেও দুই অঞ্চলের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যু নিয়ে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় ৮ মার্চ এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭০ বছর বয়সী একজনের প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় ১৮ মার্চ। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় ১৭ মার্চ এবং কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৫৭ বছর বয়সী একজনের প্রথম মৃত্যু হয় ২৩ মার্চ।  

বাংলাদেশ সরকার ১৭ মার্চ একাডেমিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে ১৪ মার্চ থেকে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে।  

এ মহামারির সংক্রমণ রোধ করতে ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে এবং ২৪ মার্চ থেকে পুরো পশ্চিমবঙ্গকে লাকডাউনের আওতায় আনা হয়।  

২৫ নভেম্বর বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় ২,১৫৬ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫৪,১৪৬ জন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮২২৩ জন।  এপর্যন্ত দেশে ২৬,৯৬,১৫০ টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।  যার মধ্যে ২৫ নভেম্বর ১৬,০০১ জনের করোনা স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়।  

এদিকে ২৫ নভেম্বরে পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫২৮ জন। এ নিয়ে ভারতের এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৬৬,৯৯১ জন। এবং কবিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে  ৬,৪৮৭ জন।  এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৫৬,৫৪,৫২,৪ জনের করোনা স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৫ নভেম্বর ৪৪,৬৩১ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়।   

বর্তমানে বাংলাদেশে ১১৭ টি পরীক্ষাগারে করোনা নুমান পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে ৯৭ টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষায় ব্যবহার হচ্ছে।