রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাম্প হাউজিংয়ের হাইড্রলিক টেস্ট সম্পন্ন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাম্প হাউজিংয়ের হাইড্রলিক টেস্ট সম্পন্ন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিয়াক্টর কুল্যান্ট পাম্প (আরসিপিএস)।

পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের একমাত্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রিয়াক্টর কুল্যান্ট পাম্প (আরসিপিএস) এর হাইড্রলিক টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। 

বুধবার(২৫ নভেম্বর) রাতে রোসাটম প্রেরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে হাইড্রলিক টেস্ট সম্পন্নের বিষয়টি জানিয়ে বলা হয় এটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এর অংশবিশেষ।
 
ওাশিয়ার জেএসসি এইএম টেকনোলজির (রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় রোসাটমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা এটোমএনারগোম্যাস ও রাশিয়ান প্রকৌশল ইউনিয়নের কেরেলিন আ লিক শাখা) পেট্রযাভদস্কমাস শাখায় এটির  পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পাম্প হাউজিং প্রস্তুতির সময় হাইড্রলিক টেস্টিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। যন্ত্রাংশগুলোর স্ট্রেন্থ এবং টাইটনেস যথার্থ হওয়া আবশ্যক। সিডিউল অনুযায়ী আরসিপিএস এর মধ্যে প্রথমে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত পানি ভরা হয়, পরে একে তাপে স্টিম করা হয়। হাউজিং ওয়াল উত্তপ্ত করার ন্যূনতম তাপমাত্রা হলো ৫২ ডিগ্রী সেঃ । প্রেসারকে ২৪.৫ এমপিএ তে নিতে হয় (২৪০ এট্মস্ফিয়ার এর থেকেও বেশী ) এবং ১০ মিনিট ধরে রাখতে হয় । প্রেসার কমিয়ে আনার পরে ভিজ্যুয়াল ইন্সপেকশন করা হয়। পরের ধাপে আরসিপিএসকে হাউজিংকে অনেকবার তরল পেনেট্রেন্ট টেস্টিং এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, এরপর এই যন্ত্রাংশগুলোকে কাস্টমারের উদ্দ্যেশ্যে পাঠানো হয়। আরসিপিএস হাউজিং প্রথম শ্রেণীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি অংশ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, রিয়াক্টর কুল্যান্ট পাম্প রিয়াক্টর থেকে স্টিম জেনারেটরে ক্যুল্যান্ট সার্কুলেশন সরবরাহ করে। ক্যুল্যান্ট প্রেসারের অভ্যন্তরে ১৬০ এট্মস্ফিয়ারে এবং ৩০০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রায় পরিচালনা করা হয়। প্রত্যেকটি ইউনিটে চারটি গোলাকার আরসিপিএস পাম্প হাউজিং থাকে ।

রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ। রূপপুরে ২টি ইউনিটে ভিভিইআর ১,২০০ মডেলের রিয়্যাক্টর বসছে। এর কর্মক্ষমতা ৬০ বছর। আরও ২০ বছর বাড়ানো যায়। প্রত্যেক ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট যথাক্রমে ২০২৩ ও ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।