মন্টেনিগ্রো-সার্বিয়ায় পাল্টাপাল্টি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার

মন্টেনিগ্রো-সার্বিয়ায় পাল্টাপাল্টি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার

ফাইল ছবি।

দেশের সার্বভৌমত্ব অবমাননার দায়ে সার্বিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে মন্টেনিগ্রো। জবাবে সার্বিয়াও মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রদূতকে নিজ দেশ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলানোয় সার্বিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে জানিয়েছে মন্টেনিগ্রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাৎক্ষণিক জবাবে মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রদূতকেও বরখাস্ত করে সার্বিয়া। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী বলকান রাষ্ট্রের মধ্যে চরম কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সার্বিয়ার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আঘাতের বদলে আঘাত’।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত শনিবার মন্টেনিগ্রো সার্বিয়ান রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির বোজোভিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করলে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ তুলে সার্বিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সার্বিয়া সেদেশে নিযুক্ত মন্টেনিগ্রোর রাষ্ট্রদূত তারজান মিলোসেভিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কার করে। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আগে থেকেই চলমান বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক এ ঘটনার জেরে আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, একসময় সার্বিয়া-মন্টেনিগ্রো দুটোই একই রাষ্ট্র ছিল। পরে ২০০৬ সালে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে মন্টেনিগ্রো। তবে স্বাধীনতার পরেও দেশটির অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটেনি, বরং তা আরো তীব্র হয়ে দেখা দেয়। একপক্ষ অর্থোডক্স খ্রিস্টান মিত্র রাশিয়া ও সার্বিয়ার ঘনিষ্ঠ থেকে যায়, আরেক পক্ষ পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ে।

মন্টেনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট মিলো জুকানোভিক টানা ৩০ বছর ধরে দেশ শাসন করছেন। তবে গত আগস্টে নির্বাচনে সার্বিয়াপন্থী জোটের কাছে হেরে গেছে তার পশ্চিমাপন্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। আল জাজিরা