ডোপ টেস্টে মাদক সেবন প্রমাণিত হওয়ায় ৮ পুলিশ চাকরিচ্যুত

ডোপ টেস্টে মাদক সেবন প্রমাণিত হওয়ায় ৮ পুলিশ চাকরিচ্যুত

ফাইল ছবি।

ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় কুষ্টিয়ায় কর্মরত আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।

চাবরিচ্যুক হওয়া পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), দুজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং বাকিরা কনস্টেবল পর্যায়ের। এছাড়া, এক ট্রাফিক সার্জেন্টসহ দুজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বর্তমান পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত দায়িত্ব নেয়ার পর মাদকের বিষয়ে জেলায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে যেমন কঠোর ব্যবস্থা নেন। আর পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কারা কারা মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত সেটাও খুঁজে বের করা নির্দেশ দেন।

এরপর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর মধ্যে শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। আইজিপির নির্দেশে পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেন পুলিশ সুপার।

পুলিশ সুপার তানভীর সহেন্দভাজন ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানোর নির্দেশ দেন। পরীক্ষায় এসব সদস্যের নিয়মিত মাদক সেবনের রিপোর্ট আসে। এরপর গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১১ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে নয়জনই মাদক সেবন করতেন বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়। এছাড়া এক এসআইয়ের কাছে মাদক পাওয়া যায়।মাদক সেবনকারী এসব পুলিশ সদস্য জেলার বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।মাদকের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ার পর বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি তাদের অন্য জেলায় বদলি করা হয়। এখন তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর তাদের আটজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর ওই সার্জেন্টকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রাখা হয়েছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিও মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই পুলিশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমরা কুষ্টিয়া থেকে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি পুলিশ থেকেও চিরতরে মাদকাসক্তদের বাড়িতে পাঠাতে চাই। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কোনো মাদকসেবনকারী থাকতে পারবে না।