টিম ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে যা বললেন আমির

টিম ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে যা বললেন আমির

ফাইল ছবি।

ক্যারিয়ার জুড়েই তার উত্থান-পতনের খেলা। একটা সময় দাপিয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন, ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থাতেই জড়িয়ে যান ফিক্সিংয়ে। তারপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু সেই মাঠ কাঁপানো মোহাম্মদ আমিরকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। জাতীয় দলেও নিয়মিত নন আর।

‘নিউজ ওয়ান’ চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, ‘সমস্যা হলো, পাকিস্তান ক্রিকেটে যদি কোনো খেলোয়াড় সাহস করে বলে ফেলেন যে তিনি বিশ্রাম নিতে চান, তবে তাকে বাদ পড়তে হয়। ফলে খেলোয়াড়রা টিম ম্যানেজম্যান্টের কাছে এসব নিয়ে কথা বলতে ভয় পায়।’

পাকিস্তানি পেসার যোগ করেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটে একটা প্রবণতা তৈরি হয়ে গেছে, যেখানে খেলোয়াড়রা দল থেকে বাদ পড়ার ভয়ে থাকে। আমার মনে হয় খেলোয়াড় এবং টিম ম্যানেজম্যান্টের মধ্যে এই কমিউনিকেশন গ্যাপটা দূর করা উচিত। যখন একজন খেলোয়াড় বিরতি নিতে চায়, তার এটা বলতে পারা উচিত। ম্যানেজম্যান্টেরও উচিত তাকে বাদ না দিয়ে ব্যাপারটা বোঝা।’

আমির বলেন, ‘মিকি আর্থার আমাদের হেড কোচ ছিলেন। যে কেউই তাকে এটা বলতে পারে। আমি তাকে ২০১৭ সালে বলি যে, ওয়ার্কলোডটা নিতে পারছি না। আমার টেস্ট ছেড়ে দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তটা যখন আমি নেই, ছয় মাস কেউই কিছু বলেনি। কিন্তু বিতর্ক শুরু হলো কখন, যখন আমরা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হেরে গেলাম।’

আমির আরও বলেন, ‘মানুষের একটা স্বাভাবিক ব্যাপার তো বোঝা উচিত, পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থেকে ক্রিকেটে ফেরার পর আমার অবস্থাটা কেমন। আমার চোখ, হাঁটু, কাঁধে কি ধরনের সমস্যা হয়েছে, টিম ফিজিওকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন। কিন্তু কেউ আমার কথা শুনেনি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের কথা মনে আছে। পেইন কিলার নিয়ে খেলায় আমার খিঁচুনি হয়েছিল।’

ফিক্সিং বিষয়ে বলেন ‘হ্যাঁ, আমি ২০১০ সালে যা করেছি সেটি ভুল ছিল। আমি কিন্তু তার শাস্তি পেয়েছি। পাঁচটি বছর ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম, এমনকি ক্লাব ম্যাচও খেলতে পারিনি। কিন্তু মানুষ এখনও আমাকে ওই অতীত নিয়েই কথা শোনায়, বর্তমান নিয়ে তারা বলে না।’

আমির বলেন, ‘শুধু আল্লাহই পারেন এর ফায়সালা করতে। আমি শুধু জানি, যদি নীতি ঠিক থাকে সব ঠিক। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটে ইতিবাচকতার থেকে নেতিবাচকতা বেশি।’