ভারতের জাতীয় সঙ্গীতে পরিবর্তন চান বিজেপি সাংসদ

ভারতের জাতীয় সঙ্গীতে পরিবর্তন চান বিজেপি সাংসদ

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বদলে যাবে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত? জাতীয় সঙ্গীতে পরিবর্তন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি দু'পৃষ্ঠার চিঠি লিখেছেন বিজেপির সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। 

বিষয়টিতে দ্রুত সাড়াও পেলেন তিনি। এ নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত স্বামী নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন সে কথা। আর তার পরেই শুরু হয়ে গেছে নতুন বিতর্ক।

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সঙ্ঘে অথবা বিজেপিতে কিছু কিছু আপত্তির কথা শোনা গেছে। তবে নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই হোক, আর যা-ই হোক, গত দু'বছরে মোদী মাঝে মাঝেই তাঁর নিজের ভাষণে রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করেছেন। এই অবস্থায় সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর টুইট অন্য রকম বিতর্ক উস্কে দিল। 

'জনগণমন' নিয়ে সুব্রহ্মণ্যমের আপত্তি কেন? 
প্রবীণ বিজেপি সাংসদের আপত্তির অন্যতম কারণ 'সিন্ধু' শব্দটি। তাঁর মতে, জাতীয় সঙ্গীতের কিছু কিছু শব্দ (যেমন, সিন্ধু) এই সময়ে অনাবশ্যক ধাঁধা তৈরি করে। রবীন্দ্রনাথের 'জনগণমন'-র শব্দ পরিবর্তে তিনি তাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)-র গাওয়া গানটিকেই পছন্দ করেছেন। 'জনগণমন'র আদলে লেখা আইএনএ-র জাতীয় সঙ্গীত 'কাওয়ামি তারানা'র প্রথম পংক্তি ছিল 'শুভ সুখ চ্যায়েন'। এই গানটিই ব্যবহারের পক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

জানা যায়, ১৯৪৩-এ সুভাষ বসুর নির্দেশে আইএনএ-র দুই সদস্য মুমতাজ হোসেন এবং কর্নেল আবিদ হাসান সাফরানি গানটি লিখেছিলেন, সুর দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাম সিংহ ঠাকুর।

কিন্তু জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ কি পরিবর্তন করা যায় কিনা সেই বিষয়েও চিঠিতে যুক্তি দেখিয়েছেন স্বামী। জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ পরিবর্তন প্রসঙ্গে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের বক্তব্যের উল্লেখ করেছেন তিনি। ১৯৪৯ সালে রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ পরিবর্তন বা সংশোধন করা যেতে পারে।

কিন্তু যে 'সিন্ধু' শব্দ নিয়ে স্বামীর আপত্তি, আইএনএ-র গানেও তার উল্লেখ রয়েছে। তা ছাড়া, 'সিন্ধু' শব্দটি আরএসএসের অখণ্ড ভারততত্ত্বও সমর্থন করে। তবে এত জটিলতায় না ঢুকে স্বামীর আশা, আসন্ন ২৩ জানুয়ারির মধ্যেই এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে মোদী সরকার।
সূত্র: জি নিউজ