মৃত্যুর আগে তীব্র যন্ত্রণায় ভুগেছেন ম্যারাডোনা!

মৃত্যুর আগে তীব্র যন্ত্রণায় ভুগেছেন ম্যারাডোনা!

ম্যারাডোনা

ম্যারাডোনা পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন গত মাসে। কিন্তু তার মৃত্যু নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা। হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি। ডাক্তারি প্রাথমিক রিপোর্টে এটা এসেছে। তবে তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবহেলা ছিল, আগেই পরিবার থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। প্রথম দিকে এমন অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি। কিন্তু দেরিতে হলেও সেই অভিযোগই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।

ম্যারাডোনার ময়নাতদন্ত তেমনই বলছে। অনেকে আশঙ্কা করেছিল, ম্যারাডোনার শরীরে ড্রাগের অস্তিত্ব খুজে পাবে ডাক্তাররা। কিন্তু তা বিন্দুমাত্রও পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধরা পড়েছে, ম্যারাডোনার হৃদযন্ত্রের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর ফুসফুস, কিডনি ও যকৃৎ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অথচ মৃত্যুর আগে এসব রোগের কোন ওষুধ তাকে দেয়া হয়নি। ফলে মৃত্যুর আগে ৭-৮ ঘন্টা তীব্র যন্ত্রণায় ভুগেছেন ম্যারাডোনা। বুয়েনস এইরেস বৈজ্ঞানিক পুলিশের অফিস থেকে এ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

আর্জেন্টিনার সংবাদ সংস্থা তেলাম প্রেস এজেন্সিকে এক তদন্তকারী বলেছেন, ‘পরীক্ষাগারের বিশ্লেষণে যে ফল বেরিয়ে এসেছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। ম্যারাডোনাকে মানসিক সমস্যার ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু হৃদরোগের কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি।’ তার শরীরে যেসব ওষুধের অস্তিত্ব মিলেছে, এর সবই খিঁচুনি, পেটের সমস্যা, মাদকাসক্তিসহ মানসিক সব সমস্যার জন্য। কিন্তু ফুসফুস, কিডনি কিংবা যকৃতের চিকিৎসার জন্য কোনো ওষুধের অস্তিত্ব মেলেনি। সংবাদমাধ্যম জানায়, ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৌঁসুলিরা।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরপরই চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলেছিলেন তার মেয়ে জিয়ান্নিনা। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন এবার জিয়ান্নিনা, ‘সবাই আমার বাবার ময়নাতদন্তে ড্রাগ, মারিজুয়ানা ও মদের অস্তিত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। আমি কোনো চিকিৎসক নই, কিন্তু তাকে ধীরে ধীরে স্ফীত হতে দেখেছি। কণ্ঠস্বর ছিল যান্ত্রিক, মনে হতো না এটা তার গলা।’