এইচএসসির ফল নিয়ে মঙ্গলবার কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী

এইচএসসির ফল নিয়ে মঙ্গলবার কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি

২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল কবে প্রকাশিত হবে এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফলাফলের বিষয় ছাড়াও তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল করা, বই উৎসবসহ শিক্ষাসংক্রান্ত সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলবেন।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।

তিনি জানান, চলতি মাসের মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি তালাবন্দি ক্লাসরুম কীভাবে সচল করা হবে তা-সহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

প্রসঙ্গত চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯-২০ এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল। এরআগে চলমান মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে বাতিল করা হয় এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অটোপাসের। 

তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তৈরির নীতিমালা অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই এই বছর আর হচ্ছে না ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নীতিমালা অনুমোদন হলে ফলাফল তৈরিতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক নম্বর নির্ধারণ করা হবে। তার মধ্যে জেএসসিতে ২৫ শতাংশ এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। যারা জেএসসিতে অংশগ্রহণ করেনি তাদের ক্ষেত্রে শতভাগ নম্বর এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ওপর নির্ধারণ করা হবে। কেউ আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও অতিরিক্ত বিষয়ে ও ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যুক্ত থাকলে তাদের ক্ষেত্রে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পরিবর্তন হতে পারে। বিষয়ভিত্তিক ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই সূত্র অনুসরণ করতে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

চলতি বছর করোনাভাইরাসের কারণে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়। সব পরীক্ষার্থীকে অটোপাসের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ জন্য একটি জাতীয় পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অটোপাসের বিষয়ভিত্তিক নম্বর নির্ধারণ করা হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।