ফিলিস্তিন ও কাশ্মিরের এখন একই অবস্থা : ইমরান খান

ফিলিস্তিন ও কাশ্মিরের এখন একই অবস্থা : ইমরান খান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

ফিলিস্তিন ও ভারতশাসিত কাশ্মিরে বর্তমানে একই পরিস্থিতি বিরাজমান বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার তুরস্কের এক টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনের সাথে যা করছে এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে পারে না। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয়ার পেছনে তিনি দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, প্রথমত, কাশ্মিরে আর ফিলিস্তিনে বর্তমানে একই পরিস্থিতি রয়েছে। আমরা যদি দখলদার ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেই তবে কাশ্মিরের প্রতি ভারতের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানানো হবে। যা সম্পূর্ণভাবে আমাদের রাষ্ট্রের নৈতিকতার লঙ্ঘন।

দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানের নীতি প্রণয়নের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কথা স্মরণ করে ইমরান খান বলেন, এ বিষয়ে তিনি বলছিলেন, যতদিন না ফিলিস্তিনের মাটি থেকে অন্যায় নিমূর্ল হচ্ছে এবং তারা তাদের ভূখণ্ড ফিরে না পাচ্ছে ততদিন পাকিস্তান ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।

পশ্চিমাদের ইসলামোফোবিয়ার বিষয়ে ইমরান খান বলেন, পাশ্চাত্য নেতারা যারা ইসলামোফোবিয়া নিয়ে চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করছেন তারা মূলত বুঝতে চান না আমরা মুসলিমরা পবিত্র কুরআন ও মহানবী সা:-কে নিয়ে কতখানি অনুভব করি।

পাশ্চাত্য দেশগুলোতে কিভাবে ইসলামোফোবিয়া বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তিনি বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর উচিত জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ল্ড ফোরামগুলোতে মুসলিমদের মহানবী সা:-এর প্রতি অনুভূতি বোঝার বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা। আমাদের তাদেরকে ব্যাখ্যা করতে হবে, বাকস্বাধীনতার নামে মহানবীর সমালোচনা আমাদের জন্য কতখানি যন্ত্রণার। আমরা এটি বন্ধ করতে তাদের অনুরোধ করতে পারি।

পাকিস্তান ও তুরস্কের ‘ঐতিহাসিক সম্পর্কের’ কথা স্মরণ করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মির ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানকে যে সমর্থন দিয়েছে তারা তা ভুলবেন না।

কাশ্মির হলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল যেটির একটি অংশ রয়েছে পাকিস্তানের অধীনে এবং অন্য অংশ ভারতশাসিত। দু’দেশই কাশ্মিরের ওপর নিজেদের আধিপত্য দাবি করে আসছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে দিল্লী ও ইসলামাবাদ কাশ্মির নিয়ে ১৯৪৮, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে তিনবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

ইমরান খান আরো বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগোনের সাথে পাকিস্তানের অভিন্ন মূল্যবোধের সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্যিক কারণে এ সম্পর্ক আরো গভীর হবে। এরদোগান ক্ষমতায় আসার পর থেকে তুরস্ক নতুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ যেভাবে দেশটিকে পরিবর্তন করেছেন এরদোগান সেভাবে তুরস্কের উন্নয়ন করে চলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক