পরিবহন ধর্মঘটে অচল চট্টগ্রাম বিভাগ

পরিবহন ধর্মঘটে অচল চট্টগ্রাম বিভাগ

ছবি সংগৃহিত।

পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলায় যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর ছাড়া বাকি নয় জেলায় এই ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু হয়।৭২ ঘণ্টার সময়সীমা পার হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে গেছে গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ। নয় দফা দাবি মেনে নিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সংগঠনটি।

গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ সূত্র জানায়, তাদের ৯ দফা দাবি হলো- গণ ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করা, জরিমানা মওকুফের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করা, বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনও অতিরিক্ত জরিমানা আদায় না করা, হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কর্তৃক গাড়ি জব্দ ও রিকুইজিশন বন্ধ করা, চট্টগ্রাম মেট্টো-এলাকায় গাড়ির ইকোনোমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ন বন্ধ না রাখা, ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ক্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোন অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহন টু বা ডাম্পিং না করা, ড্রাইভার কর্তৃক চালিত গাড়ির রেকার ভাড়া আদায় না করা, সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা ও কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করা।

এদিকে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গণপরিবহন সংকটে চাকরীজীবী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা ভাড়া দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি মিনিবাসের দেখা মিললেও সেগুলোতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় দেখা গেছে।