ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : ৮ ছাত্রলীগ নেতার বিচার শুরু

ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : ৮ ছাত্রলীগ নেতার বিচার শুরু

ছবি: নিউজজোন বিডি

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায়  আট ছাত্রলীগ নেতাকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করার মাধ্যমে আলোচিত এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু করেছে আদালত।

 আজ রবিবার(১৭জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি রাশিদা সাঈদা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে বেলা ১১টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামিকে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।  

রাশিদা সাঈদা খানম বলেন, বেলা সোয়া ১১টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: মোহিতুল হকের আদালতে আলোচিত এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ  মামলার চার্জ গঠনের ওপর শুনানি হয়। এ সময় আদালতে দুই আসামির জামিন ও তিন আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি (ডিসচার্জ) চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। বাদি-বিবাদি পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।

উল্লেখ্য গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী (২১)। এ সময় ছাত্রাবাসের আঙিনায় তাঁর স্বামীকে আটকে রাখা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় ৬জনের নাম উল্যেখ করে মামলা করেন। এজাহারের বাইরে আসামি করা হয় আরো দুই-তিনজনকে।

পরে পলাতক থাকা মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‌্যাব। এর মধ্যে এজাহারে নাম না থাকা মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন ও আইনুদ্দিনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার আটজনকেই কয়েক দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তদন্তকালে মোট ৪৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।