একাকিত্বে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি!

একাকিত্বে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি!

ফাইল ছবি।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, যারা যত বুদ্ধিমান তারা তত বেশি একা থাকতে চান। একলা থাকতেই তারা খুশি অনুভব করেন। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের করা গবেষণাটি থেকে জানা যায়, ১৮ থেকে ২৮ বয়সী প্রায় ১৫ হাজার মানুষের ওপর এই গবেষণা চালিয়ে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 
তবে একাকিত্ব যে মানুষকে নানাভাবে ক্ষতি করে মানুষের শারীরিক মানসিক ও পারিপার্শিকতার ওপর প্রভাব ফেলে সেই তথ্যও উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। যেখানে একা থাকার অন্তত ৫টি নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়েছে। 
ডিমেনশিয়া: সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকলে বয়স্ক মানুষের মাঝে ডিমেনশিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাঢ়ে। একাকী মানুষ আলঝেইমার্স রোগে ভুগেন। গবেষকদের মতে, একাকীত্ব মানুষের জ্ঞানকে সংকুচিত করে।
করোনারি হার্ট ডিজিজ: নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্ব মানুষের করোনারি হার্ট ডিজিজ ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি যথাক্রমে ২৯% ও ৩২% বাড়িয়ে দেয়। কার্ডিওভাস্কুলার রোগে ভুগারও আশঙ্কা থাকে।
আত্মহত্যার প্রবণতা: যেসব মানুষ খুব বেশি একাকী থাকেন তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া বিষণ্নতা ও হতাশা তাদেরকে অনেকসময় আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। 
মাদকাসক্ত: একাকিত্বের আরও নেতিবাচক দিক হলো মাদকাসক্তি। দীর্ঘদিন একা থাকার পলে সঙ্গী হিসেবে অনেকেই মাদককে বেছে নেন। গবেষকেরা মনে করেন, একা ও নিঃসঙ্গ মানুষের মদ্যপানের দিকে প্রবল ঝোক থাকে। 
স্ট্রেস: নিঃসঙ্গতা যেকোনও ব্যক্তির মাঝে দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস তৈরি করতে পারে। যাতে করে কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তখন স্ট্রেস হরমোনের লেভেল ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। এমনকি মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে যায়। আয়ুও কমে যায়।