রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ১০ খাবার

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ১০ খাবার

সংগৃহীত ছবি

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয় নানাবিধ রোগ বালাই। তার উপর রয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে শরীরে চাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাই কিছু খাবার। দেখে নেওয়া যাক কী সেই খাবার-
 
রসুন:- রসুনে রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ। ঠাণ্ডায় সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচতে রসুনের চেয়ে ভালো আর কিই বা হতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত রসুন খেলে রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফিরে মুখের স্বাদ। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।

আদা:- আরও একটি দুর্দান্ত খাদ্য হল আদা। শীককালে চায়ের সাথে আদা আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি। এছাড়াও নানা ধরণের পানীয় ও খাবারে আদার ব্যবহার করা হয়। আদা প্রকৃত পক্ষেই একটি সুপারফুড। এটা ইনফ্লেমেশন ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। বমি ভাব কমাতেও এটি অনবদ্য। বাড়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি।

গোজি বেরি:- এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, খনিজ ও ট্রেস এলিমেন্ট। প্রতিদিন সকালে গোজি বেরি খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মাচা:- মাচা এককথায় গুঁড়ো গ্রিন টি। আবার অনেকের কাছে কফির বিকল্প। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ট্রেস এলিমেন্ট, মুক্ত র‌্যাডিকাল স্ক্যাভেঞ্জার্স যা সর্দি, কাশিতে দারুণ কাজ করে। মাচা পানীয় হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। আবার চাইলে মাচা ফ্লেভারের কেক বা কুকিজও বানানো যেতে পারে।

ব্লুবেরি:- এটা যেমন থেকে ভালো, তেমনই গুণেও ভরপুর। ব্লুবেরিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। এবং শীতকালে ব্লুবেরি খাওয়া উচিত। ব্লুবেরি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি, যা নানান রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে লাল শিমলা।
 
কাঁচা মরিচ:- এতে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। যে কোনও টক ফলের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ। 

মৌরী:- খাবার পর মৌরী মুখে দিতে অনেকেই ভালোবাসেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না মৌরীতে রয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ ভিটামিন সি। নিয়মিত মৌরী খেলে শরীরে ব্যাক্টিরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংসকারী শ্বেত রক্ত কণিকা উৎপন্ন হয়। তাই শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে মৌরী খুবই উপকারী৷

দই:- শরীরে রোগ প্রতিরোধে দইয়ের জুড়ি নেই। এর প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরকে দূষিত হতে দেয় না। সংক্রমণ থেকে দ্রুত সেড়ে উঠতে সাহায্য করে। দইয়ের প্রোবায়োটিক আসলে ভালো ব্যক্টিরিয়া, যা পাচনতন্ত্রের কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি:- ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করলেই সকলে গ্রিন টি-র কথা বলে। কিন্তু এতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ:- যে কোনও ধরণের সংক্রমণের সঙ্গে আমাদের রক্ষা করতে পারে হলুদ।-কোলকাতা২৪