২৯৭ রানের বড় টার্গেট দিল বাংলাদেশ

২৯৭ রানের বড় টার্গেট দিল বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহীম

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ  ওয়ানডে ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম, মুশফিক, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান  সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২৯৮ রান।  যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলের জন্য বড়ই কষ্টকর।

চট্রগ্রামের  জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে লিটন ও শান্তের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ । প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই শূন্যহাতে জোসেফের বলে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার লিটন দাস। এরপর আরেক ওপেনার তামিম ইকবালের সাথে যোগ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু নবম ওভারে মায়ারসের এলবিডিব্লিউর ফাঁদে পড়ে তিনিও সাজঘরে ফিরেন। তার সংগ্রহ ছিল ২০ রান। তার পরে তামিম ও সাবিবের ৯৩ রানের অনবধ্য এক  ‍জুটিতে  অনেক দূর এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।  

এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১৩১ রান পর্যন্ত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৯তম ফিফটি করে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে থেমে যায় তামিমের ইনিংস। জোসেফের বলে হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৮০ বলের ইনিংসে তামিম হাকান তিনটি চার ও একটি ছক্কা।  তামিমের আউটের পর মুশফিকুর রহীমের সাথে ৪৮ রানের জুটি গড়ে সাকিব।  ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৮তম ফিফটি করার পরই বিদায় নেন সাকিব। ৮১ বলে ৫১ রানে তিনি রেইফারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের ফেরেন।   সাকিবের বিদায়ের পর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে  ৭২ রানের এক অনবধ্য জুটি  গড়ে।   ৫৫ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মুশফিকের এটি ২৯তম ফিফটি। মুশফিকের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কার মার।

দুই ম্যাচ পর প্রথম ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সৌম্য সরকার। সাতে নেমে করেছেন ঠিক সাত রান। এরপর হয়েছেন রান আউট। সিরিজে প্রথম মাঠে নেমে সাইফউদ্দিন ২ বলে থাকেন ৫ রানে অপরাজিত। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৩ বলে থাকেন ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তার ইনিংসে ছিল সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহর এটি ২২তম ফিফটি।

বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জোশেফ ও রেইফার। একটি উইকেট পান কাইল মায়ার্স।