এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর : ব্রিটিশ হাইকমিশনার

এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর : ব্রিটিশ হাইকমিশনার

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, চলতি বছরটি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের জন্য বড় এক বছর এবং বাংলাদেশের ‘অসাধারণ সাফল্য’ উদযাপনে বছরজুড়ে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন তারা।

নিজ বাসভবনে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) নেতাদের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর।’সাক্ষাতে অন্যদের মধ্যে ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

হাইকমিশনার বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা কয়েকটি অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি এবং কিছু অনুষ্ঠান ব্যক্তিগত উপস্থিতির মাধ্যমে পালন করবেন।

দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সংলাপ, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে আরো জোর দেয়া, শিক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং জাতিসঙ্ঘের আসন্ন জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে ২০২১ সালের নজর দেবে ব্রিটিশ হাইকমিশন।ডিকসন বলেন, ‘জলবায়ু ইস্যুটি বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য এবং পুরো বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।’

কপ২৬

চলতি বছরের ১-১২ নভেম্বর গ্লাসগোতে হতে যাওয়া ২৬তম জাতিসঙ্ঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৬) আয়োজন করবে যুক্তরাজ্য।প্যারিস চুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসঙ্ঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত্ব করতে কপ২৬ সম্মেলনে সকলকে একত্রিত করা হব।

যুক্তরাজ্য বলছে, তারা কপ২৬-এর আগে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা প্রথম সারির সব দেশ এবং সুশীল সমাজ, সংস্থা এবং মানুষের সাথে জলবায়ু সংক্রান্ত কাজে অনুপ্রেরণা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, জলবায়ুর বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সিভিএফে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের জোট হলো সিভিএফ। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ফোরামটি বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী সরকারগুলোর একত্র হয়ে কাজ করার জন্য দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

২০১১-১৩ সালে সিভিএফের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো ২০২০-২২ সালের জন্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।

শেখ হাসিনা ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের (জিসিএ) দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয় চালু করেছেন। এটি জিসিএ ও সিভিএফ স্বাক্ষরিত বর্তমান এমওইউ অনুসারে সিভিএফের সচিবালয় হিসেবে কাজ করবে।

টিকা সম্পর্কিত ভুল তথ্য

টিকা সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই আসল চ্যালেঞ্জ। এগুলো সমাজে ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাই যথাযথ তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে বলে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। ‘আমাদের সবাইকে সম্মিলিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।’রোহিঙ্গা বিষয়ে বলতে গিয়ে ডিকসন বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তারা সত্যিকার অর্থে এতে জোর দিচ্ছেন।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে নিতে এবং এটা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার।পরে, ডিক্যাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

সূত্র : ইউএনবি