বৃহস্পতির মতো বড় মেঘহীন গ্রহ আবিষ্কার

বৃহস্পতির মতো বড় মেঘহীন গ্রহ আবিষ্কার

সংগৃহীত ছবি

সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের মহাকাশচারীদের বড়সড় আবিষ্কার। রাতের আকাশে তাঁদের লেন্সে ধরা পড়ল জুপিটার বা বৃহস্পতির মতো বড় আকারের একটি গ্রহ, যা প্রায় মেঘমুক্ত বলা চলে। এই তথ্য তাঁরা তুলে ধরেছেন ফেব্রুয়ারি মাসের অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারে। সেই রিপোর্টে জানা গেছে এই গ্রহের বায়ুমন্ডলে কোনও কুয়াশা বা ধোঁয়াশা নেই। ফলে পরিষ্কার চিত্র থাকায় এর ছবি স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে।
 
নতুন এই গ্রহটির নাম ডাব্লিউএএসপি-৬২বি। এই গ্যাস জায়েন্ট ২০১২ সালে প্রথম দেখা যায় ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সার্চ ফর প্ল্যানেটের সাউথ সার্ভের মাধ্যমে। তবে এই গ্রহের বায়ুমন্ডলে ঠিক কোন কোন গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কোনও গবেষণা হয়নি।

সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের ছাত্র মুনাজজা আলম জানান, তাঁর থিসিস পেপারের জন্য এই গ্রহ নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। এর বৈশিষ্ট্য, বায়ুমন্ডলের উপাদান সম্পর্কে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। হট জুপিটার নামে বেশি পরিচিত ডাব্লিউএএসপি-৬২বি গ্রহটি। এটি ৫৭৫ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। তবে বৃহস্পতির আয়তনের অর্ধেক এর আয়তন। সূর্যের চারপাশে ঘুরতে বৃহস্পতির সময় লাগে ১২ বছর। তেমনই এই গ্রহের নিজেদের সৌরজগত পরিক্রম করতে সময় লাগে মাত্র সাড়ে চার দিন। নিজেদের সৌরজগতের নক্ষত্রের অত্যন্ত কাছে থাকায়, এই গ্রহ অত্যন্ত উষ্ণ পরিমন্ডলের। এখানে প্রাণের বিকাশের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

অত্যধিক গরম বায়ুমন্ডলীয় গ্রহ হওয়ায় এর নাম দেওয়া হয়েছে হট জুপিটার। এই গ্রহ সম্পর্কে প্রথমে ততটা তথ্য না পাওয়া গেলেও, ধীরে ধীরে গবেষণায় নানা তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ চলছে এই নতুন গ্রহের। ডাব্লিউএএসপি-৬২বি-র পরিমন্ডলে প্রাথমিকভাবে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন মেঘহীন গ্রহের দেখা পাওয়া বেশ দুষ্কর।

গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত ‘ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস’ নামক একটি শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে জানা গিয়েছিল, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নাসার বিজ্ঞানীদের সূর্য থেকে ১০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এক বাদামি বর্ণের বামনের অস্তিত্ব রয়েছে তা আবিষ্কার করতে সহায়তা করেছিলেন।

১১ জুলাই নাসার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জ্যোতির্বিদ জ্যাকি ফাহার্টি বলেছিলেন, “নাসা মহাবিশ্বে থাকা বিভিন্ন বিরল বস্তুগুলিকে শনাক্ত করতে সাহায্য করে। নাসার নেউইসিআই উপগ্রহ থেকে পাঠানো তথ্য পর্যবেক্ষণের পরে বিজ্ঞানীদের এই বাদামি বর্ণের বামন গ্রহ সম্পর্কে আরও কৌতূহলী করে তুলেছে।”- কোলকাতা২৪