ইরফান সেলিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ইরফান সেলিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ইরফান সেলিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট- ছবি: সংগৃহীত

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের প্রমাণ পাওয়ায় ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) রমনা বিভাগ। তদন্তে নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে ইরফান সেলিমের সহযোগীদের মারধরের প্রমাণ মিলেছে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ঘটনার সময় ইরফান সেলিম গাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তদন্তে মারধরের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে তার সহযোগীদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে বের হয়ে নৌবাহিনীর কর্মকতা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর করে ইরফান সেলিমসহ তার সহযোগীরা।

ওই ঘটনায় পরের দিন ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোঃ জাহিদুল মোল্লা ও এ বি সিদ্দিক দিপু, গাড়িচালক মিজানুর রহমান এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।

একই ঘটনায় পরের দিন ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। আর ইরফানের দেহরক্ষী মোঃ জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন। এরপর একই বছরের ২৮ অক্টোবর র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।