খালেদা জিয়া দেশের যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন : আইনমন্ত্রী

খালেদা জিয়া দেশের যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন : আইনমন্ত্রী

আনিসুল হক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশের যেকোনো হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে পারবেন। এর জন্য কোন হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার দুপুরে সচিবালয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের সময়সীমা বাড়ানো এবং বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য যে আবেদন, সেটি আমাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছিল। আমরা যে মতামত দিয়েছি সেটি হলো- আগের মতো তার সাজা স্থগিতের সময়সীমা আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। যে শর্তগুলো আগে ছিল সেই শর্ত সাপেক্ষে এটা বাড়ানো হয়েছে (শর্তগুলো হলো- তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন)।

তবে আবেদনে বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে লেখা হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মতামতে বলা হয়েছে দেশের ভেতরে তিনি যদি বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন সরকারের তাতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা আবেদনপত্রে এই মতামত দিয়েছি। তবে তার হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি, তিনি স্পেশালিস্ট কাকে রাখবেন সেই স্বাধীনতা তার।

আগে যে দুটি শর্ত ছিল সেই দুটি শর্তই রয়েছে। তারা বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন, এক্ষেত্রে কোন চিকিৎসককে তিনি রাখবেন চয়েজ উইল বি হার, বলেন আইনমন্ত্রী।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত মঙ্গলবার আবেদন করেন। একইসঙ্গে দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি না সে প্রসঙ্গেও তারা আর্জি জানান। এরপর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদনটি পাঠানো হবে।

এর আগে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আবার সময়টা (সাজা স্থগিত) এক্সটেনশন (বাড়ানো) করার জন্য, আরো কিছু শর্ত শিথিল করে এক্সটেনশন চেয়েছে। আমরা এখন সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে... তিনি যা চেয়েছেন, এটা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।’