বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

বশেমুরবিপ্রবির  উপাচার্যের পদত্যাগের  দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

ছবি: সংগৃহিত।

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগতদের হামলার পর উদ্বেগ, উৎকন্ঠা সত্ত্বেও আজ রবিবার চতুর্থ দিনের মতো এই আন্দোলন চলছে। এদিন ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর অভিযানও শুরু করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করেছে।

রবিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। মাহাবুব আলী খান বলেন, আমাদের এমপি সাহেব ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও হাইকমান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমরা অনুরোধ রাখবো তোমরা একটি আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করবে।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন শুরু করে। আন্দোলন থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের সকাল ১০ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এসময় হলের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়।

ওইদিন দুপুরেই ভিসি সমর্থক বহিরাগতরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। তারপরও সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছু না হটে ৪র্থ দিনের মতো ভিসির পতন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভিসি সমর্থিত শিক্ষকরা তাদের ব্যক্তিগতভাবে ডেকে নিয়ে আন্দোলন থেকে সরে দাড়ানোর কথা বলছে। তা না হলে তাদের সার্টিফিকেট আটকে রাখা, ক্লাস ও পরীক্ষার সময় দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। বহিরাগতদের হামলার পর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অজানা আতঙ্ক আর হুমকির মুখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তারা।