সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে: শেখ হাসিনা

সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে: শেখ হাসিনা

ছবি সংগৃহিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউএইচসি) নিশ্চিত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এটা বৈশ্বিক ও প্রাথমিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার সুফল বৈশ্বিক এবং এর জন্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’ তিনি স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ট্রাস্টিশীপ কাউন্সিলের প্ল্যানারি কাউন্সিলে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো একটি সাধারণ লক্ষ্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বয় আমাদের উন্নয়নের মূল। তিনি বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে।
নানা রকম প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও বাংলাদেশ সরকার সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিশ্চিতকরণে উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
।তিনি বলেন, ‘আমরা যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ এ স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। আমাদের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরো সম্প্রসারণ এবং এক বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা করছি।’
পরে, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ কক্ষে জলবায়ু পদক্ষেপ শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পানি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মোকাবেলা করতে ৮২ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সহ অভিযোজন ও সহনশীলতা তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দুর্যোগ চলাকালে লোকজনকে আশ্রয় দিতে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় ৪ হাজার ২৯১ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৫২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগাম জোরালো সতর্কবার্তা প্রক্রিয়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমন্বিত পদক্ষেপ কিভাবে বড় পরিবর্তন ঘটাতে পারে তা বাংলাদেশ করে দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আমরা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে এবং ভবিষ্যত বিপদের ঝুঁকি মোকাবেলায় অন্যদের নিকট থেকে শিক্ষা নিতে আনন্দের সাথে এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের এক সরকারি সফরে রোববার বিকেলে এখানে পৌঁছান।