এমন কোন অত্যাচার নাই যা ফিলিস্তিনিদের উপর করা হচ্ছেনা: এরদোগান

এমন কোন অত্যাচার নাই যা ফিলিস্তিনিদের উপর করা হচ্ছেনা: এরদোগান

ছবি সংগৃহিত।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়িব এরদোগান ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের ‘বহুরূপী’ একটি মানচিত্রের দিকে ইশারা করে উপস্থিত বিশ্ব নেতাদের কাছে জানতে চান, ইসরায়েলের সীমানা কতটুকু, এই মানচিত্রে ইসরায়েল আসলে কোনটি?

মানচিত্রটিতে মোট চারটি চিত্র আঁকা ছিল। প্রথমটিতে ফিলিস্তিনের আশপাশে প্রায় অস্তিত্বহীন সাদাচিহ্নের এক ইসরায়েল। দ্বিতীয়টিতে অর্ধেক ফিলিস্তিন দখলে নেয়া ইসরায়েল এবং তৃতীয় ও চতুর্থ মানচিত্রে এসে খোদ ফিলিস্তিনেরই অস্তিত্বের সংকট লক্ষ্য করা যায়। এই বক্তব্য প্রদানকালে এরদোগানের চেহারা কিছুটা রক্তিম হয়ে ওঠে।
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এরদোগান বিশ্বনেতাদের প্রতি এই প্রশ্ন ছোড়েন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ব্যাপারে আমি আমার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা চাই, ১৯৬৭ সালের সীমান্তের উপর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভীত রচনা করা হোক। যার রাজধানী থাকবে পূর্ব জেরুসালেম। এটা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে পদক্ষেপই গ্রহণ করা হোক না কেন সেটা ইনসাফপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবেনা।

মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী এই নেতা বক্তৃতায় বলেন, আমি জানতে চাই,ইসরায়েলের সীমানা কোনটা,তাদের সীমানা কি ১৯৪৮ সালের না ১৯৬৭ সালের, নাকি তাদের আবার অন্যকোন সীমানা আছে?

এরদোগান বলেন, তথাকথিত শতাব্দীর সেরা চুক্তির আসল উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিপক্ষে একঘরে করার সিদ্ধান্ত দেয়া। আর আমি জাতিসংঘের মাধ্যমে জানাচ্ছি আমরা নিজেদের জন্য আবশ্যক করে নিয়েছি ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমাদের সমর্থন জারী রাখার,যদিওবা জাতিসংঘ তার প্রতিশ্রুতি থেকে দূরে সরে রয়েছে।
তুর্কী প্রেসিডেন্ট গুরুত্বারোপ করে বলেন, এমন কোন অত্যাচার নাই যা ফিলিস্তিনিদের উপর করা হচ্ছেনা। কয়েকদিন আগে হিজাব পরিহিতা এক নারীকে ইসরায়েলের পাষাÐ সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে। এতেও কি বিশ্ব-বিবেক নড়েচড়ে বসবে না? আসলে আমরা কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমি ফের প্রশ্ন করি,আজ ইসরায়েলের সীমান্ত কোথায়, ১৮৪৮ থেকে ১৯৬৭, তারপর আজ পর্যন্ত কিভাবে একটা দেশের সীমানা এরকম পরিবর্তন হয়?

এরদোগান বলেন, “ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক রেজুলেশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, অথচ, আমরা এমন অবস্থায় আছি, আমাদেরকে সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে কখনোই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবোনা। কেননা, ফিলিস্তিন সমস্যা আমাদের সমস্যা।