সৌদি-ইরান যুদ্ধ হলে বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বংস হবে : সৌদি যুবরাজ

সৌদি-ইরান যুদ্ধ হলে বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বংস হবে : সৌদি যুবরাজ

ছবি: সংগৃহিত

ইরানকে নিবৃত্ত করতে বিশ্ববাসী যদি কিছু না করে তাহলে জ্বালানি তেলের দাম ‘কল্পনাতীত’ রকমের বেড়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি সিংহাসনের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বলেছেন, ইরান আর সৌদি আরবের মধ্যে যদি যুদ্ধ বাধে তাহলে বিশ্ব অর্থনীতিকে তা ধ্বংস করে দেবে। মার্কিন সংবাদসংস্থা সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরবে দুটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার পর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই হামলায় সেদিন ১৮টি ড্রোন আর ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছিল। যার ফলে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৌদি আরব এই হামলার জন্য তার আদি শত্রু ইরানকে দায়ী করে আসছে। যদিও ইয়েমেনের হাউসি বিদ্রোহীরা এর এর দায়ভার স্বীকার করেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করেছে যে ওই হামলার পেছনে ‘ইরানই দায়ী ছিল’।

যুবরাজ মোহাম্মদ বলেছেন,‘ইরানকে ঠেকাতে বিশ্ববাসী যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তাহলে সংঘর্ষময় পরিস্থিতি আরও তীব্র হবে যা বিশ্বের স্বার্থের জন্য ঝুঁকি হবে। এতে তেল সরবরাহ ব্যাহত হবে। যার ফলে তেলের দাম কল্পনাতীত রকম বেড়ে যেতে পারে। যা হয়ত আমরা আমাদের জীবদ্দশায় দেখিনি।’ তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের তেলের চাহিদার ৩০ শতাংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। বিশ্বের জিডিপির ৪ শতাংশের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,‘চিন্তা করুন এই বিষয়গুলো যদি হঠাৎ বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে শুধু সৌদি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, পুরো বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংস হবে।’

জামাল খাসোগি প্রসঙ্গ:

সাক্ষাৎকারে গত বছর তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়েও কথাবার্তা হয়। এ ব্যাপারে তিনি আরো দায়িত্ব নেবেন বলেন জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন,‘সৌদি একজন নেতা হিসেবে আমি এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি, বিশেষ করে সৌদি সরকারের হয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের দ্বারা যেহেতু এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’

সৌদি রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচনার জন্য তিনি নিজে সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করেছেন তিনি। এই বিষয়ে আদৌ তার কোন তথ্য ‘জানা ছিল কিনা’ সেই অভিযোগও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। সৌদি আরবে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য, তাদের ভাষ্য অনুযায়ী ‘নীতিবিচ্যুত’ ১১ জন বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।