সিরিয়ায় তুর্কি অভিযানে নিহত ১৬

সিরিয়ায় তুর্কি অভিযানে নিহত ১৬

ছবি: সংগৃহিত

সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। ভয়াবহভাবে প্রথমে সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে স্থলপথে অভিযান জোরালো করা হয়েছে। এর ফলে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার টুইটারে হামলা শুরুর ঘোষণা দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিমান ও সমরাস্ত্র থেকে কুর্দি অবস্থানে পূর্ণোদ্যমে শুরু হয় হামলা। এতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে থাকেন। এরদোগান দাবি করেছেন এই হামলায় সবুজ সংকেত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

তবে এর পর পরই ট্রাম্প সতর্ক করেছেন এই বলে যে, যদি তুরস্কের অভিযান যতটা সম্ভব মানবিক না হয় তাহলে দেশটির অর্থনীতি মুছে দেবেন তিনি। ওদিকে তারই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন সিরিয়ায় হামলা চালাতে তুরস্ককে অনুমোদন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। পম্পেও বলেছেন, তুরস্ককে এমন হামলা চালাতে দেয়ার যে অনুমোদনের কথা বলা হচ্ছে তা নিছক মিথ্যা কথা। তুরস্ককে সবুজ সংকেত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার উত্তরে সীমান্ত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তার পক্ষেই তিনি কথা বলেছেন। তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা আছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও অনলাইন বিবিসি।

সিরিয়ায় আইএস বিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হলো কুর্দিরা। তাদের বিরুদ্ধে বুধবার অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এরদোগান বলেছেন, তার লক্ষ্য হলো সীমান্তে সন্ত্রাসীদের করিডোর সৃষ্টি প্রতিরোধ করা। তার সরকারের পরিকল্পনা হলো, কুর্দি জঙ্গিদের পরিষ্কার করে সেখানে একটি নিরাপদ এলাকা তৈরি করা। সেখানে থাকবেন সিরিয়ার শরণার্থীরাও। তার এ পরিকল্পনা নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, তুরস্কের এমন অপারেশনে স্থানীয় কুর্দি জাতিকে নিধন করা হতে পারে। পুনরুত্থান ঘটতে পারে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের। তুরস্কের হামলার প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী। এরই মধ্যে তুরস্কের সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তারা।

সিরিয়ায় আইএসকে পরাজিত করার যুদ্ধে এবং এই লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল মিত্র কুর্দিরা। সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হওয়ার পরে আইএসের হাজার হাজহার যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকার বন্দিশিবিরে প্রহরা দিয়ে রেখেছে কুর্দিরা। যদি তাদের বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে এই কাজটি তারা অব্যাহত রাখবে কিনা তা পরিষ্কার নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা বলেছে, আইএসের সেলে নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃটিশ দু’জন বন্দিকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এসব সেলে নির্যাতনের পাশাপাশি হত্যা করা হয়েছে পশ্চিমা প্রায় ৩০ জন জিম্মিকে। ওই দুই আইএস যোদ্ধা হলেন আল শাফি আল শেখ এবং আলেকজান্দা কোটে। ‘দ্য বিটলস’ নামের একটি বৃটিশ সেলে তারা বন্দি ছিলেন।