তুরস্কের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

তুরস্কের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

ফাইল ছবি

 সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি নিরাপদ অঞ্চল গঠনের জন্য অভিযানের কারনে তুরস্কের দুইজন মন্ত্রী এবং তিনজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে। ক্রমেই এটি আরও কঠোর হতে থাকবে; যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি কোনও শান্তিচুক্তিতে না আসবে।

যত দ্রুত সম্ভব অঞ্চলটি পরিদর্শনের কথাও জানিয়েছেন মাইক পেন্স। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী। এটি তুরস্কের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুর্কি সরকারের কর্মকাণ্ডে সিরিয়ার ওই অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।

আবার একইসঙ্গে এটি আইএস-কে পরাজিত করার গৌরবকেও ম্লান করে দিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আইএস-এর কথিত খিলাফতকে শতভাগ পরাজিত করার পর আমি সিরিয়া থেকে মোটাদাগে আমাদের বাহিনী সরিয়ে নিয়েছি। সিরিয়া ও আসাদকে কুর্দিদের রক্ষা করতে দিন। তুরস্ককে তার নিজ ভূখণ্ডের জন্য লড়াই করতে দিন। আমার জেনারেলদের আমি বলেছি, কেন আমরা শত্রু ভূখণ্ড সিরিয়া ও আসাদের জন্য লড়াই করছি? যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, মূলত কংগ্রেসে নিজ দলের সদস্যদের সমালোচনার মুখেই তুরস্কের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী মানবিজ শহরে প্রবেশ করেছে। মানবিজ শহরের যে এলাকায় সিরীয় শরণার্থীদের ফেরাতে সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করতে চাইছে তুরস্ক, সেই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সিরীয় বাহিনী। তুর্কি বাহিনী এবং তাদের মিত্র সিরীয় মিলিশিয়ারাও শহরের কাছে জড়ো হয়েছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে কুর্দিদের চুক্তিটিকে আসাদের জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। কেননা ২০১২ সালের পর এই প্রথম অঞ্চলটিতে প্রবেশের সুযোগ পেলো আসাদ বাহিনী। এলাকাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে সিরীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়