মনিপুরের স্বাধীনতা ঘোষণা, প্রবাসী সরকার গঠন

মনিপুরের স্বাধীনতা ঘোষণা, প্রবাসী সরকার গঠন

ছবি:সংগৃহীত

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। লন্ডনে একটি প্রবাসী সরকারও গঠন করেছে তারা। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত থেকে আলাদা হওয়ার সংগ্রাম করে আসছে মনিপুর রাজ্য।

আলজাজিরা জানিয়েছে, লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বঘোষিত মনিপুর স্টেট কাউন্সিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী নারেংবাম সমরজিত বলেন, লন্ডনে বসেই প্রবাসী সরকার মনিপুরের স্বীকৃতি আদায়ে জাতিসঙ্ঘে তৎপরতা চালাবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে বসেই প্রবাসী সরকারের কার্যক্রম চালাবো। এসময় তিনি মনিপুরের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করবো......জাতিসঙ্ঘের সদস্য পদ পেতেও চেষ্টা করা হবে। আশা করছি অনেক দেশই আমাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজী দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এক রিপোর্টে বলেছে, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ভারতের সবচেয়ে ছোট রাজ্যগুলির একটি মনিপুর। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রাজ্যটির জনসংখ্যা ২৮ লাখ। ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের একটি মনিপুর। ভারতের স্বাধীনতা লাভের দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে মনিপুর ভারতের সাথে যুক্ত হয়। তবে বহু বছর ধরেই রাজ্যটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ইয়ামবেন বিরেন। তারা বলেন, ভারতের দমন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তারা।

তারা জানিয়েছেন যে, ভারতে থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে তারা হয়তো গ্রেফতার হতে পারেন অথবা ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের হত্যা করতে পারে।

মনিপুরের এই নেতারা বলেন, মনিপুরে গত ১০ বছরে অন্যায়ভাবে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আরও দেড় হাজারের বেশি মানুষকে অবৈধভাবে বন্দী করা হয়েছে। গত কয়েক দশকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।