দেশে কাঁকড়ার কৃত্রিম প্রজনন

দেশে কাঁকড়ার কৃত্রিম প্রজনন

ফাইল ছবি।

দেশে চিংড়ির উৎপাদন ও রপ্তানি কমছে। চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোর বেশির ভাগ অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। দেশের ‘সাদা সোনা’খ্যাত চিংড়িশিল্পের এই হতাশাজনক অবস্থার মধ্যে আশার আলো জ্বেলেছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা। দেশের মৎস্যজাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে কাঁকড়ার চাষ ও রপ্তানি। কিন্তু এটি এত দিন ছিল প্রকৃতিনির্ভর। উপকূলীয় নদী ও বঙ্গোপসাগর থেকে কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহ করে তা ঘেরে চাষ করা হতো এত দিন। এতে প্রকৃতিনির্ভর এই সম্পদ দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। বিএফআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা এবার কাঁকড়ার কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হওয়া শিলা কাঁকড়ার এই কৃত্রিম প্রজননের ফলে এর পোনা এখন থেকে হ্যাচারিতে উৎপাদন করা যাবে। বিএফআরআইয়ের খুলনার পাইকগাছায় অবস্থিত লোনা পানি কেন্দ্রে ২০১৫ সাল থেকে হ্যাচারিতে শিলা কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনের জন্য গবেষণা শুরু করা হয়। গবেষক দলে ছিলেন কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক মো. লতিফুল ইসলাম ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুন সিদ্দিকী। দীর্ঘ গবেষণার পর চলতি মাসের শুরুর দিকে গবেষক দলটি হ্যাচারিতে শিলা কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে।