পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ

পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ

ছবি: সংগৃহীত

কোথাও কোনো গাড়ি নাই। বুধবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার রাস্তায় কোনো গাড়ি নাই। ঢাকার বাইরে থেকে রাজধানীতে কোনো গাড়ি ঢুকছে না, আবার ঢাকার গাড়ি বাইরেও যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছে হাজারো মানুষ।

সকাল থেকেই রাস্তায় কোনো গাড়ি না থাকায় অনেকে পাঁয়ে হেঁটে অথবা বিকল্প অন্য কোনো উপায়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অফিসগামী এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ হচ্ছে বেশি। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আকস্মিক এই ধর্মঘটে বিপাকে পরছেন যাত্রীরা।

এদিকে রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে এসব স্থান থেকে সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনের সংশোধন ছাড়া তারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামবেন না।

সকালে উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে দেখা গেছে, গাজীপুর থেকে কোনো গাড়ি এই রাস্তায় ঢুকছে না। অন্যদিকে টঙ্গী সাভার ইপিজেট রুটেও কোন গাড়ি চলছে না। একই সাথে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কেও বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। আমিনবাজার ও গাবতলীতে একই চিত্র। এখান থেকেই দুরপাল্লার কোনো গাড়ি চলছে না। পশ্চিমবঙ্গের ও উত্তরবঙ্গের কোনো গাড়িও আসছে না বা ছেড়ে যাচ্ছে না।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানিয়েছেন, নতুন আইনের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকলেও কিছু বিষয় পুনর্বিবেচনা করা দরকার। তিনি আরো জানান, নতুন এই আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। পাশাপাশি এ আইনের অনেকগুলো ধারা আছে, আমি মনে করি যেগুলো এই মুহুর্তে বাস্তবায়ন সম্ভব না। আইনের কিছু ধারা যেন সংশোধন করা হয়।

আইনের কয়টি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের জামিন অযোগ্য ধারাটিসহ তিন-চারটি ধারা সংশোধন করা প্রয়োজন বলে পরিবহন মালিকরা মনে করেন।

নতুন আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনার মামলায় শাস্তি বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে, এসব মামলা হবে জামিন অযোগ্য। এনিয়ে আপত্তি রয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের। এনায়েত উল্লাহ আরো বলেন, শ্রমিকদের পক্ষ থেকেও প্রস্তাব আছে, জামিন অযোগ্য ধারাকে জামিন যোগ্য করার জন্য।