দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ২.৫ কিমি

দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ২.৫ কিমি

ছবি: সংগৃহীত

শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১৭তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সেতুর ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় স্প্যানটি। এই স্প্যানটি বসানোয় সেতুর দুই হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। ১৬তম স্প্যান বাসানোর মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে এ স্প্যানটি বসানো হলো। এর আগে, ১৬তম স্প্যানটি গত ১৯ নভেম্বর ১৬ ও ১৭ নম্বর খুঁটিতে বসেছিলো।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৪ বা ৫ ডিসেম্বর সেতুর ১৮তম স্প্যানটি বসানো হতে পারে। এটি বসবে ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটিতে। এখন থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে স্প্যান উঠতে থাকবে।

ইতোমধ্যে চীন থেকে আরো দুটি স্প্যান বাংলাদেশে পৌঁছেছে। সমুদ্রপথে গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে স্প্যান দুটি মোংলা পোর্টে এসে পৌঁছায়। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১৬তম স্প্যান (৩ডি) ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। ওই স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সে সময় সেতুর দৃশ্যমান হয় ২৪০০ মিটার। স্প্যান বসার পরে কাজের গতি বেড়েছে।

পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির ও প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, সব চ্যালেঞ্জকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে মূল সেতুর কাজ। পিলারের পাশাপাশি, স্প্যান, রোডওয়ে ও রেলওয়ের কাজও এগিয়ে চলছে।

প্রকৌশলীরা আরো জানান, পুরো সেতুতে দুই হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে দুই হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।