কিভাবে বুঝবেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন

কিভাবে বুঝবেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন

ছবি: সংগৃহীত

আজকাল অনেকেরই শোনা যায়, ডায়াবেটিস হয়েছে। এটা হলে আমাদের জীবন-যাপনের বেশ পরিবর্তন ঘটে। তবে বেশির ভাগ সময়ই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে কিছুটা দেরিতে। যখন ধরা পড়ে তখন শুধু ডায়াবেটিস নয়, শরীরের প্রেশারও অনেক বেশি থাকে এবং কোলেস্টেরল লেভেলও হয়তো চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার প্রাক্কালে নীরবে শরীরে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়। সেগুলো অনেকেই হয়তো লক্ষই করেন না। অথচ ওইগুলোই ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ। আগে থেকে যদি বিষয়টি লক্ষ করে ব্যবস্থা নেয়া যায় অথবা কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া যায়, তাহলে হয়তো ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

লক্ষণগুলোর প্রথমটি হলো অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা। খাওয়ার পরই দেখা যায় আবার ক্ষুধা লেগেছে। আসলে রক্তে যখন চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীরকে সচল রাখার জন্য অতিরিক্ত খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে। দ্বিতীয় লক্ষণটি হলো অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা। ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে অল্প পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্ত হয় যায়। প্রচুর ঘুম পায় এবং কাজে মনোযোগ দিতেও কষ্ট হয়। গলা শুকিয়ে যায়, একটু পরপরই তেষ্টা লাগে এবং বারবার প্রস্রাবের বেগ হয়।

এটাই ডায়াবেটিসের মূল লক্ষণ হিসেবে ধরে নেন অনেকেই। আসলে এটা ডায়াবেটিস হওয়ার প্রাথমিক পর্যায় মাত্র। তৃতীয় লক্ষণটি হলো ওজন কমে যাওয়া। ওজন কমলে অনেকেই খুশি হন। ভাবেন অনেক চেষ্টা করেও যখন ওজন কমানো যায়নি, আর এখন এমনিতেই ওজন কমে যাচ্ছে।

কিন্তু সত্যিটা হলো, ডায়াবেটিস যখন শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে তখন ওজন এমনিতেই কমতে থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার আগে চতুর্থ লক্ষণটি হলো দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া। দীর্ঘদিন ধরে হাই-ব্লাড সুগার থাকলে চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আসে। পঞ্চম লক্ষণটি হলো শরীরে কোথাও ইনফেকশন হলে সহজে সারতে চায় না।

ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে দেহে ফাংগাস ইনফেকশন বেশি হয় এবং যেকোনো ধরনের ইনফেকশন সারতে বেশি সময় নেয়। শরীরে এর যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করা উচিত। আরো যেটা উচিত তা হলো, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং পেশীবহুল শরীর গঠন করা। কারণ পেশীবহুল শরীর সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় না। ইন্টারনেট।