ইবির ভর্তিতে পোষ্য কোটায় বিশেষ ছাড়

ইবির ভর্তিতে পোষ্য কোটায় বিশেষ ছাড়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ,  ইবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটাধারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হিয়েছে। ভর্তির শর্ত শিথিল করে  এ সুবিধা দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্য কোটাধারীদের সাথে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।

ভর্তির ক্ষেত্রে কোটাধারীদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা, দলিত হরিজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটাধারীরা এবং দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটাধারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে নির্ধারিত শর্তে শিক্ষার্থী না পাওয়ায় কোটাধারীদের জন্য শর্ত শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ। ‘এ’ ইউনিট এবং ‘ডি’ ইউনিটের সব কোটাধারীদের ভর্তির ক্ষেত্রে শর্ত দেয়া হয়েছে লিখিত পরীক্ষায় ৭ নম্বরসহ মোট ৩২ নম্বর। তবে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটার ক্ষেত্রে এ শর্ত শিথিল করে লিখিত অংশে ৫-সহ মোট ২৬ নম্বর করা হয়।

সি’ ইউনিটে সব কোটাধারীর ভর্তি শর্ত রাখা হয়েছে ইংরেজি অংশে ন্যূনতম ১২ ও লিখিততে ব্যবস্যায় শিক্ষা শাখা থেকে আগতদের ৫ ও অন্যদের ক্ষেত্রে ৭-সহ মোট ৩২ নম্বর। কিন্তু পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটাধারীদের ক্ষেত্রে শর্ত রাখা হয়েছে ইংরেজিতে ১২ ও লিখিততে ৪-সহ মোট ২৬ নম্বর।

এছাড়াও ‘বি’ ইউনিটের ক্ষেত্রে সব কোটাধারীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ শিফটে লিখিত অংশে ৪ ও তৃতীয় শিফটে ৩-সহ মোট ৩২ পেতে হবে। কিন্তু পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটাধারীদের প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ শিফটে লিখিততে ৩ ও তৃতীয় শিফটে ২-সহ পেতে হবে মোট ২৬ নম্বর।

ভর্তির শর্ত শিথিল করার ফলে অন্যদের থেকে বিশেষ ছাড় পেয়েছে পোষ্য কোটাধারীরা। কোটাধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য করে পোষ্য কোটাধারীদের বাড়তি সুযোগ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন শিক্ষক মহল।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘যারা এ ধরনের বিশেষ বিবেচনায় কোটায় ভর্তি হয় তাদের ক্লাস পারফরম্যান্সও সন্তোষজনক হয় না। শর্ত শিথিলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে ভালো ভালো বিভাগে ভর্তি হচ্ছে অথচ গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে পারছে না। এদের কেউ কেউ এখন শিক্ষকতায়ও আসছে। যা গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্যই অশুভ সংবাদ।’

এদিকে কেন পোষ্য কোটায় বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও পদাধিকারবলে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলতে বলেন।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আবদুল লতিফ বলেন, ‘শুরু থেকেই পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটায় শর্ত কম ছিল। কেন পোষ্য কোটাধারীদের ক্ষেত্রে শর্ত বেশী শিথিল করা হয় এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।’