বন্দি অবস্থায় ৬ জনকে হত্যার দায় স্বীকার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

বন্দি অবস্থায় ৬ জনকে হত্যার দায় স্বীকার  মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

মিয়ানমার সেনা প্রধান

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় ৬ জন বন্দিকে হত্যা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। রাজ্যে সেনাবাহিনী একটি গ্রামের স্কুলে আটক অন্তত ৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেছেন, সেনারা নিরস্ত্র বন্দিদের ওপর গুলি চালিয়েছে। কারণ, তারা সেনাদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। আটকদেরকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ গোষ্ঠীটি জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ গোষ্ঠী।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনায় বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বহু জাতিগোষ্ঠীর দেশ মিয়ানমারে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

মিয়ানমারে অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও সেনাবাহিনীর প্রায়ই সংঘর্ষ হয়ে থাকে।

মিয়ানমারের উত্তর রাখাইনে সাংবাদিকসহ বেশিরভাগ ত্রাণসংস্থা নিষিদ্ধ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে যা ঘটেছে তা যাচাই করা কঠিন বলে ইয়াঙ্গন থেকে জানিয়েছেন বিবিসি’র এক সংবাদদাতা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন এর ভাষ্য অনুযায়ী, “রথেডুয়াং শহরের কায়াউক তান গ্রামের একটি স্কুলে সাময়িকভাবে ২৭৫ জনকে আটক রাখা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বন্দিরা ‘নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ’ করার চেষ্টা চালালে তাদের ওপর সেনারা গুলি চালায়। এছাড়া সেনাদের আর অন্য কোনো উপায় ছিল না।

প্রথমে সতর্ক করতে গুলি ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু এ ঘটনায় “ছয় জন নিহত হয়। আহত হয় আটজন এবং ৪ জন পালিয়ে যায়।”