রংপুরকে ৬ ইউকেটে হারাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

রংপুরকে ৬ ইউকেটে হারাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর রেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মোহাম্মদ নাঈমের ঝড়ো ফিফটির পরও বোলারদের কল্যাণে রংপুরকে বেশি দূর এগোতে দেয়নি চট্টগ্রাম। ১৫৮ রানে বেঁধে ফেলে রংপুরকে। পরের কাজটা সহজেই সেরেছেন ব্যাটসম্যানরা।মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। ১৫৮ রানের লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে ১০ বল বাকি থাকতে।

২৬ বলে তিন ছক্কা ও ছয় চারে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন নাঈম। তরুণ বাঁহাতি এই ওপেনার পরের ২৮ বলে এক-দুই নিয়ে খেলে যোগ করেন আরও ২৬ রান। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ফিরেন ৭৮ রান করে। জবাবে চাডউইক ওয়ালটন ও ইমরুল কায়েসের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে সহজেই দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান মোহাম্মদ শেহজাদ। ইংলিশ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান টম অ্যাবেল বিদায় নেন দুই অঙ্ক ছুঁয়েই।

নাঈমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তবুও উড়ন্ত সূচনা পায় রংপুর। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান রানাকে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ডানা মেলেন নাঈম। পঞ্চম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে আবার আসে ছক্কা ও চার। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নাসির হোসেনকে স্বাগত জানান ছক্কায়। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে শাহজাদকে হারিয়ে তোলে ৫৭ রান।

রায়ান বার্লকে পরপর দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নাঈম স্পর্শ করেন ফিফটি। ১০ ওভার শেষে রংপুরের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮২। সেখান থেকে দেড়শ ছাড়ায় কোনোমতে।  রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা ছিল মোহাম্মদ নবির। অধিনায়ক ১২ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে করেন ২১ রান। শেষের দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দ্রুত রান তুলতে পারেনি রংপুর।

রান তাড়ায় চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আভিশকা ফার্নান্দো ও ওয়ালটন। সাদামাটা এক ডেলিভারিতে ভাঙে দ্রুত এগোনো ৬৮ রানের জুটি। লুইস গ্রেগরির ফুলটস বলে সীমানায় ক্যাচ দেন আভিশকা। ২৩ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৩৭ রান করেন লঙ্কান এই ওপেনার।

৩২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করার পর আর এগোতে পারেননি ওয়ালটন। ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে তিন ছক্কা ও চারটি চারে ফিরেন ৫০ রান করে।চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরা মাহমুদুল্লাহ এক ছক্কায় করেন ১৬ বলে ১৫ রান। দ্রুত ফিরেন নাসির। রায়ান বার্লকে নিয়ে বাকিটা সারেন ইমরুল। ৩৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।