কারাগারে আইনজীবীর মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

কারাগারে আইনজীবীর মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

হাইকোর্ট

পঞ্চগড়ে কারাগারে একজন আইজীবীর  অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের (৩৬) মৃত্যুর ব্যাপারে  আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি কারাগারের ভেতর মৃত্যুর ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ চারজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি শেষে বুধবার (৮ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

এর আগে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে (কারা হেফাজতে) থাকাবস্থায় আইনজীবী পলাশ কুমার রায় অগ্নিদগ্ধ হওয়া এবং পরে হাসপাতালে মারা যাওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন ৬ মে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইজি প্রিজন, পঞ্চগড় কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টেদের বিবাদী করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ দুপুরে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে পরিবারের লোকজন নিয়ে অনশন শুরু করেন পলাশ কুমার রায়। এরপর মানববন্ধন শুরু করেন। পলাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন-এমন অভিযোগে  স্থানীয়রা তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে স্থানীয় রাজিব রানা নামের এক যুবক তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। ওই দিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পলাশকে ২৬ এপ্রিল বিকালে ঢাকা পাঠানোর কথা ছিল। তবে সকালে হাসপাতালের বাইরে থাকা একটি টয়লেট থেকে তিনি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দৌঁড়ে বের হয়। এসময় কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে এবং আগুন নেভান। আগুনে তার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে যায়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিনই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ৩০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।